ছয়তলা থেকে লাফিয়ে মডেলের আত্মহত্যার চেষ্টা
এক পর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৌশলে তাকে জাপটে ধরে কার্নিশ থেকে নিরাপদে টেনে নেন উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ দমকল কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বেলা তিনটার দিকে ওই নারী আত্মহত্যার জন্য ছাদের কার্নিশে আসেন। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। পাঁচটা বেজে গেলেও তাকে নিবৃত্ত করা না গেলে ইন্সপেক্টর শাহ আলম আমাকে যে কোনোভাবে উদ্ধারের বুদ্ধি বের করতে বলেন। পরে ছয়টাটার দিকে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুশরাতকে উদ্ধার করা এতটা সহজ ছিল না। সফিকুল জাপটে ধরামাত্রই তিনি শরীর শূন্যে ছেড়ে দেন, নিচে পড়ার জন্য ছটফট করতে থাকেন।অবশ্য এ সময় দমকল বাহিনীর অন্য সদস্যরা সফিকুলকে ধরে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচান। আর তাকে বাঁচানোর পর সফিকুলকে গালাগাল করতে থাকেন নুশরাত।উত্তরা পশ্চিম থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শাহ আলম জানান, স্বামী রফিকুল কবির সুজনের সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যার জন্য ছাদের কার্নিশে আসেন ওই তরুণী। রফিকুল কবির এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া, এমনকি হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।