আরব আমিরাতে বাংলাদেশী তরুনীর বিশাল সাফল্য
গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে নেই বাংলাদেশী কোন ব্রান্ডের প্রতিনিধিত্ব। এ প্রত্যয়ে তার পথচলা জানালেন তিনি।
গুলশানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় সাহস তার স্বামী তারিক হোসাইন। তিনি এখন ভেনাস টেলিকম ঢাকায় সিটিওর দায়িত্বে আছেন। তাদের একমাত্র সন্তান আইদিন এর নামেই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে। গুলশান ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে বাংলাদেশে জি ফোর এস এর মানবসম্পদ বিভাগে যোগ দেন।
সেখান থেকে ২০১০ সালে পদোন্নতি করে তাকে দুবাইতে পাঠানো হয় ১৬টি দেশের মানবসম্পদ অফিসার হিসেবে। তিনবছর এ উচ্চ পদে চাকুরী করার পর মাথায় আসে নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ার। ২০১৩ সাল থেকে আরব আমিরাতের শারজায় প্রতিষ্ঠা করেন আইদিন বুটিক। ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশী শ্রমিক না থাকলেও শতাধিক ভিনদেশী কাজ করে। তারা বাংলাদেশী মালিক এর অধীনে কাজ করে খুশি। গ্রাহকের কাছে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কদর জানালেন তারা প্রবাসে থাকা নারীরা স্রেফ ঘরবন্দি না থেকে উদ্যোগি হওয়া হওয়া দরকার। এ জন্য দরকার পরিবারের সহযোগিতা। এমনটি জানালেন গুলশান আরা।আমিরাতের পর মধ্যপ্রাচ্য বাজারে খুব শীঘ্রই নামছে আইদিন বুটিক। তারপর ইউরোপে যাত্রা করবে এটি। দেশ দেশান্তরে তারা নিজেদের সেবায় উড়াতে চায় লাল সবুজের পতাকা।