সাকিব নাকি তামিম, বাংলাদেশের জয়ের দিনে বিতর্কিত ঘটনা
ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইবার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রথমটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয়, দ্বিতীয়টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৬৩ রানের জয় এবং সবশেষের ম্যাচটিতে ক্রেমার বাহিনীর বিপক্ষে ৯১ রানে জয় পায় টাইগাররা।
সেই ২০০৪-০৫ এর মতো বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে দর্শক না টানলেও মিরপুরে ঠিকই ব্যাট-বলে উত্তাপ আর রোমাঞ্চ ছড়িয়েছেন তামিম-সাকিবরা মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১৬ রানে আউট হলেও ঠিকই ম্যান ইন সেভেন্টি ফাইভের চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ে শুরুতেই বশ মানে সফরকারীরা। এরপর সানজামুল-মোস্তাফিজ ভেলকি তো ছিলই। তাই শেষ পর্যন্ত ভাঙা মেরুদণ্ড নিয়ে ১২৫ রানে প্যাকেট হয়ে যায় ক্রেমাররা।
বলা হয়ে থাকে লো স্কোরিং ম্যাচ জেতাটাও শেখার একটা বড় ধাপ। হয়তো সেই ধাপটা পাড়ি দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করল বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে ফ্যান্টাস্টিক ম্যাশের সৈন্যরা দেখিয়ে দিলেন কম স্কোর করেও কিভাবে জায়ান্টদের মতো জেতা যায়।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে খেলা শেষে সবার মনে একটি বিষয় খটকা জন্ম দিয়েছে। এমনকি এ নিয়ে মিরপুরের প্রেসবক্সে সংবাদিকদের মাঝেও বলাবলি, ব্যাট হাতে ৫১ রান এবং হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট নেয়ার পরও কেন সাকিবকে ম্যাচসেরা পুরস্কার দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুধু প্রেসবক্সেই আটকে থাকেনি। ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় বেশ কিছু গ্রুপে এ নিয়ে কথার খই ফুটিয়েছেন অনেক ক্রীড়াপ্রেমী। অনেকে এটিকে মনগড়া সিদ্ধান্ত বলেও অভিযোগ করেছেন।
তাদের যুক্তি প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৭ রান ও ৩ উইকেট তুলে যদি সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হতে পারেন তবে এই ম্যাচে কেন নয়?
এ নিয়ে যুক্তি হতে পারে, ম্যাচটিতে ৭৬ রান নেয়ার দিনে তামিম তিনটি রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। প্রথম বাংলাদেশ হিসেবে ৬ হাজার রানের মালিক। দ্বিতীয়টি একই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রান। তাও লঙ্কান লিজেন্ট জয়সুরিয়াকে টপকে রেকর্ড। আর তৃতীয়টি ৫ থেকে ৬ হাজার রান করার সময় কম ইনিংস খেলে।