এটা কি ক্রিকেটের জয় নাকি বাংলাদেশের?
এমন নিরামিশ ম্যাচ (শ্রীলংকা-জিম্বাবুয়ে) হওয়ার কারণ একটাই; বাংলাদেশ নেই। যে কারণে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেও তাতে দর্শকের আগ্রহ নেই।
মাঠের ভেতর বাইর একই চিত্র। মিরপুরের ২২ গজে শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল ব্যাটে বলের লড়াইয়ে অংশ নিলেও বাইরে থেকে যেমন অনুমান করা মুশফিল, ঠিক মাঠের ভেতরে ঢুকেও তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দর্শক নেই, চার ছক্কার হইহুল্লোর নেই। যেমনটি সাকিব-তামিমদের খেলায় দেখা যায়। এদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্বি হলেও তা কেবল প্রিয় তারকাদের ঘিরেই। জিম্বাবুয়ে-শ্রীলংকার নিরামিশ ম্যাচ দেখে এটাই উপলব্দি হয়েছে ম্যাচ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের।
দেশের খেলা হলে ঘাটের পয়সা খরচ করে মাঠে চলে আসেন ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু নিজেদের চেনা মাঠে বিদেশিদের খেলা হলেও মাঠে আসার তেমন আগ্রহ নেই। যে কারণে দর্শকহীন মাঠেই নিরামিশ ক্রিকেট খেলেছেহাথুরু-হিথ স্ট্রিকের শীষ্যরা।
রোববার মিরপুর শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্যাটের লড়াই করেজিম্বাবুয়ে। শেরেবাংলায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও তার প্রভাব মাঠের বাইরে প্রতিয়মান নয়। বাংলাদেশের খেলা হলে দর্শকদের টিকিটের জন্য হুমরি খেয়ে পড়ার যে চিত্র প্রতিনিয়তই দেখা যায়। একই চিত্র লক্ষ্য করা যায় মাঠের বাইরেও। কিন্তু এদিন তেমন কিছু দৃষ্টি গোচর হল না।
মাশরাফিদের খেলা হলে মিরপুর স্টেডিয়াম পাড়ার ফুটপাত ধরে হেটে চলা পথচারীদের কানের কাছে গিয়ে হরহামেশাই বলতে শোনা যায়; ভাই টিকিট লাগবে! দরকষাকষির সেই জট তো দূরে থাক, রোববার মাঠের বাইরেক্রিকেট ভক্তদের আনাগোন নজরে আসেনি।
শুধু মাঠের বাইরেই নয়, ভেতেরর চিত্রও একই রকম। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ হলে যেখানে হাজারো দর্শকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে দর্শকহীন। ২৬ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন শেরেবাংলায় এদিন সব মিলিয়ে হাজার খানেক দর্শক হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ।
বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিদের এখন আর আগ্রহ নেই জিম্বাবুয়ে বনাম শ্রীলংকার খেলা দেখায়। যে কারণে দর্শক শূন্য মাঠেই আমুদে খেলা ক্রিকেট, রসহীন কেটেছে বিদেশি এ ক্রিকেটারদের।
দীর্ঘদিন পর দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেও তাতে দর্শক টানছে না। জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষে স্টেডিয়ামের সাউন্ড বক্সে কয়েকটি বাংলা গান বাজানো হলেও তার সঙ্গে সুর মেলাতে কাউকে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের খেলায় যেমন গানের তালে তালে মুখরিত হয় স্টেডিয়াম। কিন্তু এদিন তার সম্ভাবনাও অুনমান করা যায়নি।
বাংলাদেশ দলের খেলার দিনে পুরো মিরপুর অঞ্চল জুড়ে ঈদের আমেজ লক্ষ্য করা গেলেও জিম্বাবুয়ে-শ্রীলংকা ম্যাচে সেই আমেজ নেই। নেই দর্শকের করতালির আওয়াজ, চার ছক্কার হই-হুল্লোর।