রান আউটের আবদনে রান আউট না হয়েও তামিমকে আউট দিলেন আম্পায়ার
কিন্তু এনামুল হক বিজয় শুরু থেকেই দাপট দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। ইনিংসের প্রথম ওভারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের লেন্থ থেকে বের হয়ে যাওয়া বলে উচ্চাভিলাষী ড্রাইভ করে বসেন বিজয়।
টাইমিংয়ে গড়বড় করে স্লিপে ক্যাচ তোলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় স্লিপে থাকা কুসাল মেন্ডিস সহজ ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক ব্যাটিং করে যান দুই ওপেনার।
সোজা ব্যাটে খেলে বাউন্ডারির দেখা পান তামিম ও বিজয়। একই সাথে সফট হ্যান্ডে খেলে সিঙ্গেল বের করার চেস্টা করে এই জুটি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ফের লাকমলকে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তোলেন বিজয়।
কিন্তু সেকেন্ড স্লিপ না না থাকায় ফের রক্ষা পান তিনি। ঠিক পরের ওভারে ক্লোজ রান আউট থেকে বেঁচে যান বিজয়। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের সুযোগ কাজে লাগিয়ে লঙ্কানদের আফসোস বাড়াতে থাকেন বিজয়।
অফ স্পিনার ধনঞ্জয়াকে স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে বাংলাদেশের স্কোর দশ ওভারেই অর্ধশত ছাড়াতে সাহায্য করেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দিয়ে ৩৭ বলে ৩৫ রান করে পেরেরার করা ১৫তম ওভারে আউট হন তিনি।
তবে ভুল করেননি তামিম। তিন নম্বরে নামা সাকিবকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের স্কোর একশো ছাড়িয়ে নেন তিনি। একই সাথে টানা দ্বিতীয় অর্ধশত পূর্ণ করেন তামিম।
সত্তর ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইক রেটে ফিফটি পূর্ণ করা তামিম ইনিংসের ২৪তম ওভারে এসে ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেন। গুনারাত্নার এক ওভারে স্টেপ আউট করে পর পর দুটি ছয় হাঁকান তিনি। পরের ওভার প্রদিপকে কাভার বাউন্ডারিতে পাঠান এই টাইগার ওপেনার।
একই সাথে সিঙ্গেল নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর দেড়শ রানে পৌঁছে দেন তিনি। বাজে বলের শাসন করতে ভুল করেননি সাকিবও। প্রদিপের শর্ট ডেলিভারিকে পরপর দুইবার মিড উইকেট বাউন্ডারিতে পাঠান সাকিব।
ম্যাচে ফিরতে জুটি ভাঙ্গা আবশ্যক ছিল লঙ্কানদের। ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলেই এগোচ্ছিল সাকিব ও তামিম। কিন্তু ২৯তম ওভারে অফ স্পিনার ধনাঞ্জয়া বলে ফরওয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তামিম।
লঙ্কানরা কট বিহাইন্ডের আবেদন করলেও ৮৪ রানে খেলতে থাকা তামিমকে আউট দেন নি আম্পায়ার। পরবর্তীতে রিভিউর সাহায্যে তামিমকে ফেরায় লঙ্কানরা। দলের স্কোর তখন ১৭০ রান দুই উইকেটে।
শ্রীলংকা একাদশ-
উপল থারাঙ্গা, কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), নিরশান ডিকওয়েলা, কুসল মেন্ডিস, আসেলা গুনারাত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, সুরাঙ্গা লাকমল, ওয়েনিদু হাসারাঙ্গা, নুয়ান প্রদিপ।
বাংলাদেশ একাদশ-
তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), আনামুল হক বিজয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।