ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

দীর্ঘ ১৬ বছর পর হারানো ক্ষমতা ফিরে পেল সেনাবাহিনী

২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৩:০৩:১১

দীর্ঘ ১৬ বছর পর হারানো ক্ষমতা ফিরে পেল সেনাবাহিনী

দীর্ঘ ১৬ বছর পর অবশেষে নির্বাচনের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা ফিরে পেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই বিধান বাতিল করে দেয়।এবার অন্তর্বর্তী সরকার আবারও সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় ফিরিয়ে এনেছে।

আরপিও সংশোধনের নতুন বিধান

সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখন থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের মতোই নির্বাচনী অপরাধের জন্য কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবেন।২০০৮ সালে এই ক্ষমতা বাতিল করার পর থেকে সেনাবাহিনীর হাতে আইন প্রয়োগের কোনো ক্ষমতা ছিল না, এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়ও নয়।

সেই সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনী—অর্থাৎ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী—কে বাদ দেওয়া হয়।ফলে একজন আনসার সদস্যের যে আইনি ক্ষমতা ছিল, একজন সেনা সদস্যের কাছেও তা ছিল না।

পূর্বের ইতিহাস

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে আরপিও-তে সংশোধনী এনে সেনাবাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হয়েছিল।কিন্তু ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন সরকার ওই অধ্যাদেশ বাতিল করে দেয়, এবং সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান এল মাসুদ বলেন,

“আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশবাসীর আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের সহায়ক হবে।”

তিনি আরও বলেন,

“গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধন করে আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। এখন তারা নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে, কারও নির্দেশের অপেক্ষায় থাকতে হবে না।”

তাৎপর্য

বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।একই সঙ্গে এটি দীর্ঘদিন ধরে চলা “নির্বাচনী আইন প্রয়োগে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের” অবসান ঘটাতে পারে।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে আইসিসি ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্ষোভে স্টাম্পে... বিস্তারিত