ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সাধারণ মানুষের মুখে হাসি: এক লাখের নিচে নামতে পারে স্বর্ণের দাম!

২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১০:৩০:৪১

সাধারণ মানুষের মুখে হাসি: এক লাখের নিচে নামতে পারে স্বর্ণের দাম!

ভারত সরকারের সোনা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত:এক লাখের নিচে নামতে পারে স্বর্ণের দাম!

সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটতে পারে স্বর্ণবাজারে। দীর্ঘদিনের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার স্বর্ণের দামে বড় ধরণের পতন আসতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম এক লক্ষ টাকার নিচে নামতে পারে— এমনটাই আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।

সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে স্বর্ণবাজারে হাওয়া পরিবর্তন

গত কয়েক বছরে সোনার লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ঠেলে দিয়েছে এই মূল্যবান ধাতুকে। এক বছরের ব্যবধানেই দাম বেড়েছে প্রায় অর্ধশতাংশ। যদিও সাম্প্রতিক ধনতেরাসের পর সামান্য পতন দেখা গিয়েছিল, তবু বড় ধরনের দাম কমার প্রত্যাশায় ছিলেন ক্রেতারা।

এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার বাজারে স্থিতি ফেরাতে এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে গতি আনতে সোনা ও রুপোর ভিত্তি আমদানি মূল্য (Base Import Price) হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই নতুন নীতির ফলে আমদানি শুল্কের চাপ কিছুটা কমবে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে খুচরা বাজারে।

সোনা–রুপোর নতুন ভিত্তি আমদানি মূল্য

সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—

সোনা: প্রতি ১০ গ্রামে নতুন ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ ডলার।

রুপো: প্রতি কেজিতে নতুন মূল্য ১০৭ ডলার।

এই সংশোধনের ফলে আমদানিকারকদের জন্য খরচ কমবে, ফলে বাজারে সোনার দামও কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিত্তি আমদানি মূল্য কী?

‘ভিত্তি আমদানি মূল্য’ হলো কোনো পণ্যের আমদানি শুল্ক নির্ধারণের জন্য সরকার কর্তৃক ধার্য করা ন্যূনতম মূল্য। এই মূল্য সাধারণত প্রতি পাক্ষিকে (১৫ দিন অন্তর) পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হয়।মূল্য কমানো মানে হচ্ছে—আমদানিকারকদের করের বোঝা হ্রাস, যা পরোক্ষভাবে খুচরা বাজারে দামের পতন ঘটায়।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের অবস্থান

বিশ্বে স্বর্ণ আমদানির দিক থেকে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ, কেবল চীনের পরেই অবস্থান। অন্যদিকে, রুপো আমদানিতে ভারত শীর্ষে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী—

ভারতের মোট স্বর্ণ আমদানির প্রায় ৪০% আসে সুইজারল্যান্ড থেকে,

১৬% মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে,

আর ১০% দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ৪৮টি দেশ থেকে সোনা আমদানি করেছিল, আর পরবর্তী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেই আমদানি বেড়েছে ২৭.৩ শতাংশ।

সম্ভাব্য প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপে স্বর্ণের খুচরা মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে। এতে শুধু সাধারণ ক্রেতারাই নয়, দেশের গয়না শিল্পও উপকৃত হবে।

দাম কমলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শাহারিয়ার শাকিল/

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে আইসিসি ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্ষোভে স্টাম্পে... বিস্তারিত