ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

২০২৫ অক্টোবর ২২ ০৮:৫৯:৫২

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

সকালে সূর্য ওঠার আগেই ঢাকার আদালতের সম্মুখে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ় অবস্থানে ছিলেন। আজ বুধবার সকালে (২২ অক্টোবর ২০২৫) কড়া নিরাপত্তায় טרান্সপোর্ট করা হয় বর্তমান ও সাবেক ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে — যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় হেফাজতে রয়েছেন।

তারা ট্রাইব্যুনালে হাজির হন সকাল সোয়া ৭টায় বাংলাদেশ জেল প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে এসে। মামলাগুলোর মধ্যে দুইটি গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ, এবং একটি ছিল জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা–বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী কাণ্ড।

আদালতের আশপাশে পুলিশের, র‌্যাবের, বিজিবির ও এপিবিএনের বিশাল মোতায়েন ছিল। এছাড়া কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও কাকরাইল মোড়ে টহলদারি করা হয় সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনবাহিনীর সদস্যদের।

এই মামলায় মোট ৩২ জন আসামি—সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা ও অন্যদের সঙ্গে। এখন পর্যন্ত ১৫ জন হেফাজতে রয়েছেন।

গুম–নির্যাতনের একটি মামলায় ১৭ জন আসামি রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অব.)।

র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লে.কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লে. কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

এছাড়া র‌্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালক—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ—যাঁরা বর্তমানে পলাতক। এবং গণ-অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি করা হয়েছে বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের। বর্তমান সময়ে রেদোয়ানুল ইসলাম ও রাফাত-উন-আলম সেনা হেফাজতে রয়েছেন, বাকি দুজন পলাতক।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে আইসিসি ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্ষোভে স্টাম্পে... বিস্তারিত