‘এমন কোনো চাবি নেই যা দিয়ে প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা যায়’
বৃস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম উন্নতকরণ নিয়ে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস কোনো কালেই বন্ধ হয়নি। সব সময়ই প্রশ্নফাঁস হয়েছে। আমার শিক্ষার বয়স ৬০ বছর। তখন থেকেই প্রশ্নফাঁস ছিল। কিন্তু ওই সময় তো আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। যে কারণে প্রচার কম হয়েছে। কিন্তু এখন প্রচার বেশি হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নফাঁস হতো কিন্তু এখন আমাদেরও কিছু অনৈতিক শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করছে। এসব বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।মাধ্যমিকে পাঠ্যবইয়ের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা।
আজকের সভায় শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের উপর থেকে চাপ কমাতে হবে। চাপ কমাতে পাঠ্যবই কমাতে হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও তিনি জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জেএসসি ও জেডিসিতে তিনটি বিষয় এবার পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় দুইটি বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা হবে না। এরমধ্যে একটি হচ্ছে শারীরিক শিক্ষা। অপরটি ক্যারিয়ার শিক্ষা।
জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বার বার পরামর্শ দিয়েছি পাবলিক পরীক্ষা কমানোর জন্য। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আছে দুইটি বিষয় পাবলিক পরীক্ষা নিতে হবে। এখন অনেক বেশি। আশা করছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করবে। মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যবই উন্নত, প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আবদুল্লা আবু সাঈদ সভায় বলেন, আমেরিকায় পাঠ্যবই অনেক সুন্দর। সুখপাঠ্য। উপন্যাসের মতো। শিক্ষার্থীরা আনন্দ নিয়ে বই পড়েন। আমি চাই আমাদের বইগুলো সেরকম হউক।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাবিদ ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক, ড. কায়কোবাদ, অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ প্রমুখ।