নেইমার কাভানিদের ইতিহাস, যা কেউ করতে পারেনি
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে কাল সেল্টিককে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে নেইমার-কাভানির পিএসজি। অতীতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এতা বড় ব্যবধানে কখনোই জিতেনি পিএসজি। অসাধারণ এই জয়ে অন্য আরেকটা রেকর্ডও নিজের নামে লিখে নিয়েছে পিএসজি। কালকের ৭ গোল ধরে এবারের আসরের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই ২৪ গোল করল পিএসজি। অতীতে কোন দলই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পাঁচ ম্যাচে এতো গোল করতে পারেনি। পাঁচ ম্যাচে ২৪ গোল, অনেকে ভাবেনও-নি হয়তো!
নেইমারের মাঠের ফুটবলও ছিল অভাবনীয়। বল পায়ে রাজত্ব করেছেন কাল ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। ডান প্রান্তে খেলতে নেমেছেন, কিন্তু সময় গড়ার সাথে সাথে মাঠের সব খানেই নেইমার দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। গোল করেছেন, তার চেয়ে বেশি গোল বানিয়ে দিয়েছেন। পিএসজির বেশিরভাগ আক্রমণই নেইমারকে কেন্দ্র করে হলো।
নেইমার ভক্তরা অনেকদিন মনে রাখবে এই ম্যাচ। বিশেষ করে নেইমারের দ্বিতীয় গোলটা, অসাধারণ। ২২ মিনিটে রাবিওর বাড়ানো বল ধরে মার্কো ভেরত্তির সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে যেভাবে সেল্টিকের ডি-বক্সে ঢুকলেন আর দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন, এক একথায় অসাধারণ।
এর আগেরও এক গোল করেন নেইমার। নবম মিনিটে সেই রাবিওর বাড়ানো বলে মাপা গড়ানো এক শটে পিএসজিকে প্রথম গোল এনে দেন নেইমার। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, ম্যাচের প্রথম গোলটা পেয়েছে সেল্টিক! সেটা ম্যাচের প্রথম মিনিটেই। কর্নার থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে সেল্টিককে ১-০ তে এগিয়ে নেন মুসা দেম্বেলে। তবে তারপর থেকে শুধু নেইমার, কাভানিদের উদযাপনই দেখে যেতে হয়েছে সেল্টিককে।
২৮ মিনিটে কাভানির প্রথম গোল। এই গোলে নেইমারের অবদান। দানি আলভেজের পাস কাঁধ দিয়ে নামিয়ে দেন নেইমার, তারপর গোল করতে বেগ পেতে হয়নি কাভানিকে। ৩৫ মিনিটে এমবাপ্পের গোলেও নাম নিতে হবে নেইমারের। তার ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে গোল আদায় করে নেন এমবাপ্পে।
৭৫ মিনিটে গড়ানো শটে ভেরত্তির গোল। ৭৯ মিনিটে কাভানির দ্বিতীয় গোল। আর ম্যাচের শেষ অংশটি রাঙিয়ে দিয়েছেন দানি আলভেজ। প্রায় ২২ গজ দূর থেকে অসাধারণ মাপা এক শটে পিএসজিকে ৭-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন আলভেজ। আগেই গ্রুপ পর্ব পেরুনো নিশ্চিত হয়েছিল। ৭-১ ব্যবধানের এই জয়ে গ্রুপ সেরা হওয়াও নিশ্চিত হলো পিএসজির।