রহস্যময় মিরপুরের পিচ নিয়ে চরম সংশয় স্বাগতিকরা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ইতিহাস সৃষ্টির পর সিরিজ জয়ের জন্য উদগ্রীব বাংলাদেশ। আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে দুই দল। তবে ঢাকা টেস্টের আগেই আলোচিত রহস্যময় মিরপুর মাঠটি।
রহস্যময় মিরপুরের পিচ নিয়েও সংশয় রয়েছে স্বাগতিকরা। টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন, "এই টেস্ট মিরপুরে, যেখানে মাঝে মাঝে আপনি কয়েক সেশন না খেলা পর্যন্ত পিচ বুঝতে পারবেন না।" কারণ এখানে অনেক খেলা আছে। আমার মনে হয় না বিশ্ব ক্রিকেটে এত খেলা আর কোথাও হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা এমন পরিবর্তনের কথা ভাবছি না।
বাংলাদেশে বাড়তি পাওয়া সম্পর্কে হাথুরু বলেন, 'আপনি নিশ্চয়ই কন্ডিশন দেখে কম্বিনেশন সাজাবেন। প্রতিপক্ষ কী করছে আপনার সীমাবদ্ধতা কোথায় এসব টেকটিক্যাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখানে সর্বশেষ যে টেস্ট হয়েছে তখন পিচ অন্যরকম ছিল। উইকেট প্রস্তুত করার জন্য অনেক সময় পাওয়া গিয়েছিল। ৩ পেসার নিয়ে খেলা হয়েছিল প্রতিপক্ষের কথা মাথায় রেখে। আমাদের এখন যে স্কিল আছে সে অনুযায়ী খেলব। আমরা এখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে কম্বিনেশন সাজাতে পারি, এটা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি পাওয়া।'
দলে কেউ আত্মতুষ্টিতে ভুগছে কি না এমন প্রশ্নে হাথুরু বলেন, ‘কে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে, তা তো আমি দেখতে পাব না। যদি কারও কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায়, তাহলে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে পারি। তবে আমার মনে হয় না, সে রকম কিছু আছে। গতকাল আমাদের সবার সঙ্গে লম্বা আলোচনা হয়েছে। দলে অনেক শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে। অভিজ্ঞ নেতৃত্ব। যেমন মুশি ও মুমিনুল। ওরা কাল কী বলেছে জানি না, কারণ বাংলায় বলেছে। তবে যা বলেছে, তা বেশ আবেগপ্রবণ মনে হয়েছে। হ্যাঁ, আমি দলের মধ্যে কোনো ‘টল পপিজ’ দেখছি না।’
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে সিলেট টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার খেলায় মুগ্ধ হয়েছেন হেডকোচও। মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্ব দুটো আলাদা জিনিস। অধিনায়কত্ব ছিল চমৎকার। টেকটিক্যালি সে একদম ঠিকঠাক ছিল। খেলায় সে বেশির ভাগ সময়ই নিজে আগে এগিয়ে এসেছে। মুগ্ধ করার মতো ফিল্ড প্লেসিংও ছিল। কোনো কোনো সময় কিছুটা আনঅর্থডোক্স কিন্তু সেটা খুবই কাজের ছিল।’
শান্তর সামনে লম্বা সময় পড়ে আছে, সেটাও বিশ্বাস করেন এই কোচ, ‘নেতৃত্বও চমৎকার ছিল। পারফরম্যান্স দিয়েই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সম্মানটা সে আদায় করেছে আর একটা স্ট্যান্ডার্ডও চেয়েছে। আমার মনে হয় তার সামনে লম্বা ভবিষ্যৎ আছে। তাকে অধিনায়ক করা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। সঠিক সময়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।