| ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ফাইনালের ৩ দিন পরই রেফারিকে তাড়া করে নৃশংস মার

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ নভেম্বর ০১ ১৪:৩৬:৪৮
বিশ্বকাপ ফাইনালের ৩ দিন পরই রেফারিকে তাড়া করে নৃশংস মার

অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আক্রান্ত রেফারি এর পর বারাসত থানাতেই অভিযোগ দায়ের করেন ডালহৌসি ক্লাবের তিন ফুটবলারের বিরুদ্ধে। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের রেশ এখনও রয়েছে পুরোদমে।

চোখের সামনে ৫২টি ম্যাচ হয়েছে। রেফারির পেনাল্টি দেওয়া বা নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন টিমের অসন্তোষ থাকলেও কোনো ফুটবলারই সাহস দেখাননি রেফারিদের কাছে ঘেঁষার।

কিন্তু তা থেকে একশো বছরের পুরানো কলকাতা ফুটবল কোনো শিক্ষাই নিতে পারেনি। ইংল্যান্ড-স্পেনের দুর্দান্ত সাত গোলের ফাইনাল দেখার পরেও ফুটবলারদের মানসিকতারও কোনো বদল হয়নি। বিশ্বকাপ ফাইনালের তিন দিন পর তাই বেরিয়ে পড়েছে পুরনো কঙ্কাল।

মাঠে পুলিশ না থাকার সুযোগে রেফারি পেটালেন ডালহৌসির তিন ফুটবলার বিরা ওঁরাও, রানা মুখোপাধ্যায় এবং ভিনসেন্ট বিবেক দাশ। একটি ভিডিও ঘুরছে সকলের কাছে। রেফারিকে তাড়া করে গিয়ে নৃশংস ভাবে মারছেন এই খেলোয়াড়রা। রেফারি মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। চোখ ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে। তা দেখেও কোনো বিকার নেই মত্ত এই ফুটবলারদের।

ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচ শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে। তালতলা দীপ্তি সংঘ তখন ২-০ এগিয়ে। তালতলার দীব্যেন্দু চন্দ বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ডালহৌসির পেনাল্টি বক্সে। তা হাত দিয়ে থামান এক ফুটবলার। রেফারি পেনাল্টি দেন। তালতলার উজ্জ্বল দেবনাথ পেনাল্টি মারতে আসেন। তখনই রেফারির উপর চড়াও হন ডালহৌসির তিন ফুটবলার। তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।

রেফারি রবিন বিশ্বাস বললেন, ‘‘আমাকে মেরেছে ওই তিন জনই। চোখে-মুখে ঘুষি মেরেছে। আমার চোখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। মুখ ফুলে গিয়েছে। আমি ম্যাচ খেলানোর মতো অবস্থায় ছিলাম না। খেলা বন্ধ করে আমি বারাসত হাসপাতালে যাই।’’

রেফারিকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ না থাকলেও আই এফ এ-র অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। তাতে করেই হাসপাতালে এবং থানায় যান রেফারি ও তাঁর দুই সহকারী। ম্যাচ বন্ধ হওয়ার পরেও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মাঠেই বসেছিল দুই দল। পরে রেফারির অনুমতি নিয়ে খেলোয়াড়রা চলে যান।

আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘খবর পেয়েছি। রেফারি সংস্থার সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছি। রেফারির রিপোর্ট পেলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে অভিযুক্তদের।’’ কিন্তু মাঠে কেন পুলিশ ছিল না?

উৎপল বলেন, ‘‘এ সব ম্যাচে সাধারণত পুলিশ থাকে না। সব ম্যাচে পুলিশ দেওয়া সম্ভবও হয় না।’’

আই এফ এ কী শাস্তি দেবে সেটা জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে জানা গিয়েছে, ওই তিন ফুটবলারকেই বহিষ্কার করতে চলেছে তাদের ক্লাব। আজ, বুধবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন ডালহৌসির কর্তারা। দলের ম্যানেজার সুবল দাশ বললেন, ‘‘মাঠে টিমের কর্তারা ছিলেন। কেউ অন্যায় সমর্থন করেননি। সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ক্রিকেট

শঙ্কার মুখে এবার বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

শঙ্কার মুখে এবার বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এই সিরিজটিকে ...

ম্যাচ জয়ের পর মুস্তাফিজকে নিয়ে মুখ খুললেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিস

ম্যাচ জয়ের পর মুস্তাফিজকে নিয়ে মুখ খুললেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিস

গত বারের চ্যাম্পিয়ন দল চেন্নাই সুপার কিংস এবার কোয়ালিফাই করতে পারল না। চরম নাটকীয় ভাবে ...

ফুটবল

কোপার আগে ব্রাজিল শিবিরে নেমে এলো বড় দুঃসংবাদ

কোপার আগে ব্রাজিল শিবিরে নেমে এলো বড় দুঃসংবাদ

কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২০ জুন। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মরসুম থেকে আমরা মাত্র এক মাসেরও ...

এবছর আর্জেন্টিনার না, টুর্নামেন্টে যোগ দিচ্ছে জাপান

এবছর আর্জেন্টিনার না, টুর্নামেন্টে যোগ দিচ্ছে জাপান

বঙ্গবন্ধু কাবাডি কাপের চতুর্থ আসর শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ মে। গতবারের আলোচিত দেশ এবারে আর্জেন্টিনা ...



রে