চিরকুট লিখে সত্যের পথে বাড়ি ছাড়ল পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে
শুক্রবার রাতে মোহায়মিনুল ইসলাম এশার নামাজ পড়ার কথা বলে শহরের মনজিতপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ সে।
নিজ হাতে লেখা দীর্ঘ চিঠিতে মোহায়মিনুল ইসলাম আরও লিখেছে, দীর্ঘকালে আমাকে কেহ চিনে নাই, জানে নাই আমার কাজকে। আজ হয়তো প্রভুর অনুমতিক্রমে আমার সময় শেষ। তাই চলিলাম। ইহা স্বাভাবিক। অন্তত মুসলিমের পক্ষে। আমি সত্য লইয়াই আঁধার রাতে বাহির হইয়াছি।
মোহায়মিনুলের বড় ভাই আবদুল আহাদ জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে। মোহায়মিনুল অত্যন্ত চুপচাপ স্বভাবের ছেলে। তার কোনো বন্ধুও নেই। দুই একটি ছেলের সঙ্গে সে স্কুলে যেত। লেখাপড়ার পাশাপাশি সব সময় আল্লাহর পথ নিয়ে ভাবতো। কথা বলতো এবং কবিতা লিখতো। ক্লাসে তার এক রোল। সে আধ্যাত্মিক কথাবার্তা লিখে গেছে। প্রকৃতপক্ষে সে কোথায় গেছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে (যার নম্বর-৮৯৯)।
মোহায়মিনুলের বাবা পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার ছেলে শান্ত স্বভাবের। সে কোনো চক্রের খপ্পরে পড়ে থাকতে পারে। জেলা পুলিশের সহায়তায় তাকে আমরা খুঁজছি। এখনও পাইনি।
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ সরকার জানান, মোহায়মিনুলের লেখাপড়া ও আচার আচরণ ছিল প্রশংসনীয়। তবে গৃহত্যাগের কারণ কি জানি না।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চিঠিতে যেসব কথা বলা হয়েছে তা আধ্যাত্মিক ভাষায়। আমরা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।