শুধু মাত্র বাংলাদেশ নয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিলেন পিটারসেন
টসে হেরে প্রথম ব্যাট করে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া সাবেক টাইগার তারকারা শেষ পর্যন্ত পাইলট-মুশফিকের পার্টনারশিপে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করেছিলো। জবাবে ১৪ ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে আসরের প্রথম জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড লিজেন্ডস।
১১৪ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন কেভিন পিটারসেন এবং ফিল মাস্টার্ড। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৪৬ রানে মাস্টার্ডকে ফেরান আলমগীর কবির। ১৬ বলে ২৭ রান আসে এই ইংলিশ ওপেনারের ব্যাট থেকে।মাস্টার্ড ফিরলে আরও বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেন ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন।
টাইগার বোলারদের তুলোধোনা করে শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ৪২ রান করে মোহাম্মদ রফিকের বলে বোল্ড হন তিনি। তার বিধ্বং’সী এই ইনিংসে ছিলো ৭টি দৃষ্টিনন্দন চার এবং ১টি ছয়ের মার। এরপর স্কোফ্লিডকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরান মোহাম্মদ রফিক। তবে ড্যারেন ম্যাডির অপরাজিত ৩২* রানে ভর করে ৩৬ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাবেক ইংলিশ তারকারা।
এর আগে শহীদ বীর নারায়ণ সিং স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আজও আত্মবিশ্বাসী শুরু করেছিলেন আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৪৯ রানের দূর্দান্ত ইনিংস খেলা নাজিমউদ্দীন। কিন্তু ১৪ বলে ১২ রান করে সাইডবাটমের বলে দূর্ভাগ্যজনক ভাবে বোল্ড হন তিনি। এরপর ১২ বলে ৫ রান করে দ্রুত ফিরেন জাভেদ ওমর বেলিমও।
দুই ওপেনাকে হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশ, অল্প রানের ব্যবধানেই আরও ৩ উইকেট হারায়। ফলে স্কোরবোর্ডে ৫৫ রান তুলতেই বাংলাদেশ লিজেন্ডসের ৫ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরেন। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে বিপর্যয় পড়া দলের হাল ধরেন খালেদ মাহমুদ সুজনের পরিবর্তে আজই প্রথম খেলতে নাম মুশফিকুর রহমান এবং খালেদ মাহমুদ পাইলট। ষষ্ঠ উইকেট পার্টনারশিপে এ দুজন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫১ রান।
শেষ ওভারে হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ৩৯ বলে ৩০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন খাদেল মাসুদ পাইলট। আর শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩০* রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহমান। তার ইনিংসে ছিলো ৪টি চার। ফলে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ লিজেন্ডস শেষ পর্যন্ত ১১৩ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশঃ ১১৩/৫ (২০ ওভার); পাইলট ৩১, মুশফিকুর ৩০*; ট্রেমলেট ২/১০। ইংল্যান্ডঃ ১১৭/৩ (১৪ ওভার) পিটারসেন ৪২, ম্যাডি ৩২* ; রফিক ২/৩১।