চরম উত্তেজনায় এইমাত্র শেষ হলো টাইগারদের ম্যাচ দেখেনিন ফলাফল
তামিম ফিরলেও মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ বড় করতে থাকেন সাইফ। একটা সময় বড় ইনিংস খেলবেন মনে করলেও তাকে থামতে হয় ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। গেটাকের বলে ৫৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। দলীয় ৭৯ রানে সাইফ বিদায় নিলে দলের হাল ধরেন জয় এবং ইয়াসির আলী।
এই দুই ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে এই দুইজনের জুটি থামান হোয়াইট। ফলে ৩১ করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ইয়াসিরকে। তার বিদায়ের পর সেঞ্চুরির পথে থাকা মাহমুদুলও বিদায় নেন। দলীয় ১৭২ রানে হোয়াইটের বলে সাজঘরে ফিরতে হয় ৯৫ বলে ৬৬ রান করা মাহমুদুলকে।
ইয়াসির-মাহমুদুলের বিদায়ের পর দলের জয়ের কাজটা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়লে সেটি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় থাকেন তৌহিদ হৃদয় এবং শামিম হোসেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪২ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেন তৌহিদ। তৌহিদ সাজঘরে ফেরার পর রন আউটের শিকার হন আকবরও।
আকবরের বিদায়ে ম্যাচ থেকে তখন অনেকটাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তবুও শেষদিকে আশার আলো হয়ে ক্রিজে ছিলেন শামিম। শেষ দিকে একাই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শামিম। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আসেন তিনি। শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজন হলে প্রথম বলেই মিড উইকেটে চার মারেন সুমন।
জয়ের জন্য বাকি কাজটা একাই করেন শামিম। এডায়ের চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে দুই বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৫৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শামিম হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রুহান প্রিটোরিয়াসের ১২৫ বলে ৯০ রানের সুবাধে ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড উলভস। প্রিটোরিয়াস বাদেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ম্যাককুলাম, ডোহেনি, ট্যাক্টর। শেষদিকে ২৫ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন গেটকাটে এবং ৮ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেলানি।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন রাকিবুল হাসান এবং সুমন খান এবং একটি করে উইকেট লাভ করেছেন মুকিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আয়ারল্যান্ড উলভস ২৬৩/৭ (ওভার ৫০)
প্রিটোরিয়াস ৯০, ম্যাককুলাম ৪১: রাকিবুল ২-৩৯
বাংলাদেশ ইমার্জিং ২৬৪/৬ (ওভার ৪৯.৪)
মাহমুদুল হাসান ৬৬, শামিম ৫৩*, সাইফ ৩৬ঃ হোয়াইট ২-৪৫