আইরিশ রূপকথার এক দশক
২ মার্চ, ২০১১; বছর দশেক আগের কথা। এই দিনেই নাটকীয় রূপকথা রচনা করেছিলো আইরিশরা, যার নায়ক ছিলেন আয়ারল্যান্ড সুপারস্টার কেভিন ও’ব্রায়েন। বিশ্বকাপের মঞ্চে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারায় তারা।ম্যাচ খেলতে নামার আগে বেশ চনমনে মেজাজেই ছিলো ইংলিশরা; কারণ আগের ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে বিশাল ব্যাবধান তাড়া করে ম্যাচ টাই করেছিল পিটারসেন-বেল’রা।
সেই গতিবিধি অক্ষুণ্ণ রেখে এই ম্যাচেও ইয়ান বেল আর জনাথন ট্রটের ব্যাটে ভর করে ৩২৭ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে ইংলিশরা। দলীয় সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন ট্রট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে আইরিশরা, শুরুর ওভারেই মেইডেন উইকেট নিয়ে বসেন জেমস এন্ডারসন।
নিয়মিত বিরতিতে ইনিংসের অর্ধেক না গড়াতেই ১১১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে আইরিশরা। সকলে যখন আশাহত হয়ে ম্যাচের নিষ্পত্তি আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলেন তাদের মিথ্যে প্রমাণ করতে উদয় হন আইরিশ একিলিস কেভিন ও’ব্রায়েন। যার কাছে দুগ্ধপোষ্য শিশু বনে গিয়েছিলেন সোয়ান-এন্ডারসনরা। মাত্র ৫০ বলেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে কেভিন ও ব্রায়েন।
ভেঙে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে করা কানাডার জন ডেভিসনের বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সেইসাথে দলকে ঐতিহাসিক জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেন তিনি।৬১ বলে ১১৩ রানে কেভিন আউট গেলেও ৫ বল হাতে রেখেই তিন উইকেটের জয় তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড।
ইতিহাসের খাতায় উঠে যাওয়া এই ম্যাচের দশ বছর হলো আজ। আজও হয়তো এই দিনটিকে নিজেদের বাজে দুঃস্বপ্ন হয়ে হানা দেয় এন্ডারসন-ব্রডদের। আর অন্যদিকে ক্রিকেটের নাটকীয়তার এমন অধ্যায়ের কথা মনে করে স্মৃতিচারণ করেন গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।