শুরুতেই ৩ উইকেট হারালো তামিমরা,দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
তিন উইকেট বিপর্যয়ে বরিশালঃ
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচেও ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি বরিশালের ওপেনিং জুটি। এদিন ১৩ বলে ১৩ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড আউট হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর পারভেজ হোসেন ইমন ভালো শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি আউট হন ১১ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
আগের ম্যাচে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল এই ম্যাচেও ভালো শুরু করেছিলেন। তিনিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩১ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন। এরপর আফিফ হোসেন এবং তৌহিদ হৃদয় জুটি গড়ে দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
প্রথম ইনিংস বিশ্লেষণঃ
এই ম্যাচের টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচগুলোর মতো উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার।
সৌম্য ব্যক্তিগত ৫ রানে আবু জায়েদ রাহির বলে ক্যাচ দিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়ের হাতে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি চট্টগ্রাম দলপতি মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি ১৭ রান করে ফিরেছেন সুমন খানের বলে।
আগের দুই ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছেন লিটন দাস বরিশালের বিপক্ষেও দারুণ শুরু পেয়েছিলেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারনেননি। তিনি ৩৭ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্কুপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন।
ইনিংস বড় করতে পারেননি শামসুর রহমানও। তিনি ২৬ রান করে ফেরেন কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হয়ে। জিয়াউর রহমান ২ রান করে ফিরে গেছেন।
অবশ্য মোসাদ্দেক হোসেন এবং সৈকত আলির ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ১৯তম ওভারে সৈকতকে থার্ড ম্যাচে ক্যাচ ফেলে জীবন দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর সেই ওভারেই তিন ছক্কায় জীবন পাওয়ার মূল্য দিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অবশ্য মোসাদ্দেক ২০তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান ২৮ রান করে।
ইনিংসে শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে সৈকত করেন ১১ বলে ২৭ রান। শেষ দিকে নামা নাহিদুল অপরাজিত থাকেন ৮ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামঃ ২০ ওভারে ১৫১/৭ (লিটন ৩৫, শামসুর ২৬, মোসাদ্দেক ২৮, সৈকত; রাহি ২/৪২, মিরাজ ১/২৫)
ফরচুন বরিশালঃ ১২.৪ ওভারে ৭৭/৩ (তামিম ৩২, মিরাজ ১৩, আফিফ ১১*, হৃদয় ২*)