যে কারনে সরকারের ঘোষিত বাজেটকে উপহাস করলেন ‘ক্ষুব্ধ’আবুল হায়াত
তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি সে সময়ের একজন সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলাম। দেশের প্রতিটা নাগরিক জানে, শিল্প-সংস্কৃতি কীভাবে আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে প্রজ্বলিত করেছিলো। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দেখিয়েছে শিল্প-সংস্কৃতি কীভাবে একটা আন্দোলনকে বেগবান করতে পারে। আর এই সরকারতো বাংলাদেশের সরকার, মুক্তিযুদ্ধের সরকার। তাই এ সরকারের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি ছিলো।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সংস্কৃতি খাতে বাজেট বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরবেন কি না-এমন প্রশ্নে আবুল হায়াত বলেন, অবশ্যই তুলে ধরবো। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আমার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন। আমি দেশের তাগিদেই ওর সঙ্গে কথা বলবো। কারণ শিক্ষা ও সংস্কৃতি একটা জাতির মেরুদণ্ড। এই মেরুদণ্ড সমুন্নত রাখার জন্য সরকার সচেষ্ট না হলে দেশ একটা সময় উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটের ০.৯ শতাংশ।