| ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী একাদশ ঘোষণা করল বাংলাদেশ, ম্যাচ সময়*** টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একাদশে থাকা তারকা ব্যাটারের অভিষেক হচ্ছে আজ!*** যাওয়ার আগে মায়া বাড়িয়ে গেল মোস্তাফিজ শেষ ম্যাচে ফিজকে নিয়ে একি বললো মহেন্দ্র সিং ধোনি*** মুস্তাফিজকে বিদায় জানাতে গিয়ে ড্রেসিং রুমে একি করলেন ধোনি যে দৃশ্য দেখে কাঁদলো লাখো ক্রিকেট ভক্তরা*** সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ, দেখে নিন টাইগারদের শক্তিশালী একাদশ*** বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে কলকাতা হাইভোল্টেজ ম্যাচসহ আজ টিভিতে যেসব খেলা দেখবেন*** আজ ০৩/০৫/২০২৪ তারিখ, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট কত***

করোনা ভাইরাসের ৫ টি তথ্য অনেকেই জানেন না

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২০ জুন ২৯ ১০:২৬:২৪
করোনা ভাইরাসের ৫ টি তথ্য অনেকেই জানেন না

এর কারণ হলো, চিকিত্সক ও বিজ্ঞানীরা এখন কোভিড -১৯ সম্পর্কে আরো বেশি জানেন। ফলে ৩ মাস আগের তুলনায় বর্তমানে রোগীদের আরো ভালোভাবে চিকিত্সাসেবা দিতে সক্ষম তারা।

করোনা সম্পর্কিত ৫ টি তথ্য এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে যা গত ৩মাস আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেও আমরা জানতাম না।

১. কোভিড -১৯ কে প্রথমে নিউমোনিয়ার কারণে ফুসফুসের সংক্রমণজনিত মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হয়েছিলো। তাই যেসব রোগীদের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো তাদের চিকিত্সায় ভেন্টিলেটর ব্যবহার সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়েছিলো। এখন আমরা জানি যে, ভাইরাসটি ফুসফুস এবং দেহের অন্যান্য অংশের রক্তনালীগুলোতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণ।

এর ফলে অক্সিজেন হ্রাস পায়। ভেন্টিলেটর দ্বারা শুধুমাত্র অক্সিজেন সরবরাহ করা কোনো উপকারে আসবে না। বরং আমাদের ফুসফুসের মাইক্রো ক্লটগুলোকে প্রতিরোধ এবং দ্রবীভূত করতে হবে। এজন্যই আমরা জুন মাসের চিকিত্সায় ‘এসপ্রিন এবং হেপারিন’ (রক্তের পাতলা রোগগুলো জমাট বাঁধা প্রতিরোধকারী) জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করছি।

২. আগে রক্তে অক্সিজেন হ্রাসের কারণে রোগীরা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় মারা যেতো। এটি হ্যাপি হাইপক্সিয়ার কারণে হতো, যেখানে রোগীদের অক্সিজেনের সম্পৃক্তি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এমনকি এটি ৭০ শতাংশ কমা পর্যন্ত কোনো লক্ষণই দেখা যেতো না। সাধারণত অক্সিজেনের সম্পৃক্তি যদি ৯০ শতাংশের নিচে নেমে যায় তখন আমাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এখন বাড়িতে বসেই অক্সিমিটার ব্যবহার করে অক্সিজেনের সম্পৃক্ততা জানা যায়। যদি এর মাত্রা ৯৩ শতাংশ বা তারও কম হয়ে যায় তখনই তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মাধ্যমে চিকিত্সকরা রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি সংশোধন করার জন্য আরো বেশি সময় পায়। জুন মাসেই সুযোগটি তৈরি হয়েছে। কারণ ৩ মাসে এই ভাইরাস সম্পর্কে এই তথ্য জানা গেছে। ফলে বেঁচে থাকার আরো বেশি সুযোগ তৈরি হয়েছে।

৩. গত ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কোনো ওষুধ ছিলো না। এই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট জটিলতাগুলোরই চিকিত্সা করা হচ্ছিলো। তাই বেশিরভাগ রোগী মারাত্মকভাবে সংক্রামিত হচ্ছিলো। এখন ২টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রয়েছে, ‘ফভিপিরাবির ও রেমডিসিভির’।

এগুলো অ্যান্টিভাইরাল যা করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে। এই ২টি ওষুধ ব্যবহার করে রোগীদের মারাত্মকভাবে সংক্রামিত হওয়া থেকে আটকানো যায়। তাই হাইপক্সিয়া হওয়ার আগেই তাদের চিকিৎসা করা হয়। এই তথ্যটি জুন মাসে বিশেষজ্ঞদের কাছে আছে যা গত ফেব্রুয়ারিতে ছিলোনা।

৪. অনেক কোভিড -১৯ রোগী শুধুমাত্র ভাইরাসজনিত কারণে মারা যায় না। বরং তারা তাদের শরীরের নিজস্ব সাইটোকাইন স্টর্ম এর কারণে মারা যান। এই ঝড়ো শক্তিশালী ইমিউন প্রতিক্রিয়াটি শুধুমাত্র ভাইরাসকেই মেরে ফেলে না বরং রোগীদেরও মেরে ফেলে। ফেব্রুয়ারিতে এটিকে কিভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে সেটা কেউ জানতো না। তবে জুনে এসে অনেকেই সেটা জানেন। ‘স্টেরয়েডস’ নামের সহজলভ্য ওষুধটি সাইটোকাইন স্টর্ম রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০ বছর ধরে চিকিত্সকরা এটিকে এই কাজে ব্যবহার করে আসছেন।

৫. এখন আমরা এটাও জানি যে হাইপোক্সিয়া আক্রান্ত রোগীদের শুধুমাত্র উপুর করে শুইয়ে রাখার মাধ্যমে সুস্থ করা যায়। যাকে ‘প্রোন পজিশন’ বলা হয়। এগুলো ছাড়াও কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, আলফা ডেফেনসিন নামে পরিচিত একটি রাসায়নিক যা রোগীদের সাদা রক্ত​দ্বারা উত্পাদিত সেটি ফুসফুসের রক্তনালীতে মাইক্রো ক্লটসের কারণ হতে পারে। এটি সম্ভবত বহুবছর ধরে ব্যবহৃত ‘কোলচিসিন’ নামক ওষুধ দ্বারা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

সুতরাং এখন আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় জুনে এসে কোভিড-১৯ রোগীদের বেঁচে থাকার আরো বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।

আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই তবে, সবাইকে সাধারণ সতর্কতা অনুসরণ করতে হবে। যেমন-

১. অন্যদের থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।২. সঠিক মাস্ক ব্যবহার করা।৩. যতোটা সম্ভব বাড়ি থেকেই কাজ করা।৪. অনলাইন অর্ডার করে মুদি এবং শাকসবজি কেনা।৫.লকডাউনের সময় বাড়িতে থাকা।৬. হাত ধোয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

এসব কিছুর সাহায্যে আমরা ভাইরাসকে হারাতে পারবো। যদি কেউ আপনাকে বলে যে প্রত্যেকে সংক্রামিত হতে যাচ্ছে, তাদের বলুন যে আপনি শেষ ব্যক্তি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছুক। কারন কে জানে, ততক্ষণ পর্যন্ত হয়তো আমাদের ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়ে যেতে পারে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে কলকাতা হাইভোল্টেজ ম্যাচসহ আজ টিভিতে যেসব খেলা দেখবেন

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে কলকাতা হাইভোল্টেজ ম্যাচসহ আজ টিভিতে যেসব খেলা দেখবেন

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। চট্টগ্রামে সন্ধ্যায় শুরু হবে প্রথম ম্যাচ। এছারা আইপিএলে আজ ...

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী একাদশ ঘোষণা করল বাংলাদেশ, ম্যাচ সময়

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী একাদশ ঘোষণা করল বাংলাদেশ, ম্যাচ সময়

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছে দলগুলো। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হোম ...

ফুটবল

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তার বয়স এখন প্রায় ৩৭ বছর। অনেকেই তার অবসরের কথা ...

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বাংলাদেশে আগমনের সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের যুব ও ...



রে