করোনা ভাইরাসের মধ্যেই অনেক বড় সুখবর পেলো মাশরাফিরা
বিলম্বে হলেও এই টাকা কোনো না কোনো সময়ে তামিমরা পেতেনই। তবু এখানে কোয়াবের মধ্যস্থতা জরুরি হয়ে পড়ার কারণ আরেকটি খাতে ক্রিকেটারদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ায় বোর্ডের আপত্তি। সেটি প্রাইজমানির টাকা।
কোনো ম্যাচ না জিতেও যে টাকা পাওয়ায় ভূমিকা আছে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিকা-রও (ফেডারেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন)।
আইসিসি এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত সব শেষ এমপিএ অ্যাগ্রিমেন্টে সেটিই নিশ্চিত করেছিল সংস্থাটি। তাই এই খাত থেকেও পাওনা ছিল তামিমদের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দুর্জয় বলেন, ‘বোর্ড থেকে ওদের বিশ্বকাপের টাকা আদায় করার বিষয়ে আমরা দেন-দরবার করেছিলাম। এরপরই বোর্ড থেকে ফোনে ওরা টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পায়। এ জন্যই গত ৯ মে অনলাইনে হওয়া কোয়াব কার্যনির্বাহী কমিটির সব শেষ সভায় ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।’
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক আরো বলেছেন, ‘ম্যাচ জেতার টাকা ওরা পেতই। প্রাইজমানির টাকা ওদের প্রাপ্য কি না, সেটি নিয়েই একটু দ্বিধা ছিল। তবে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় সেই দ্বিধাও কেটে গেছে। এখন ওরা প্রাইজমানির টাকাও পাচ্ছে।’
খেলোয়াড়রা যাতে দ্রুত টাকা পায়, সেই উদ্যোগ নেওয়ার কথা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির। কিন্তু এই কমিটির ম্যানেজার (সাব্বির খান) আবার জাতীয় দলেরও ম্যানেজার। দুই দায়িত্বেই অনেক কাজ। একসঙ্গে দুটো চালাতে গেলে সমস্যা তো হবেই। এখানেও তাই হয়েছে। হিসাব বিভাগে প্রস্তাবই যায়নি।’ যোগ করেন ক্রিকেট বোর্ডের এই পরিচালক।