সৌদি আরবের সাংবাদিক হত্যার রায় প্রকাশ, তিন জনকে শিরশ্ছেদের নির্দেশ

কিন্তু চলতি রোজার মাসের শেষ সপ্তাহে এসে তাদের ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছেন খাশোগির ছেলে সালাহ খাশোগি। যদিও খাশোগির অন্য ছেলে ও মেয়ে রয়েছেন। তবে সৌদি আইন অনুযায়ী পরিবারের একজন ক্ষমা করলে আসামিরা ক্ষমা পেয়ে যান।
জামাল খাশোগি একসময় সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে রাজপরিবারের কড়া সমালোচক হয়ে যান। মোহাম্মদ বিন সালমানের উত্থানের সময় খাশোগি সৌদি আরব থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি নিয়মিত লিখতেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার লাশ টুকরো টুকরো করে গায়েব করে ফেলা হয়। আজও তার লাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সমালোচনার ঝড় উঠলে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিচারের ঘোষণা দেন। যদিও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সরাসরি দোষী হিসেবে সমালোচনা করা হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী সৌদি আরবে তদন্ত ও বিচার কাজ চলতে থাকে। গত ডিসেম্বরে বিচারে পাঁচ জনকে সাজা দেয়া হয়। এর মধ্যে দুজনকে কারাদণ্ড ও তিনজনকে শিরশ্ছেদের আদেশ দেয়া হয়। তবে ওই পাঁচ ব্যক্তির নাম কখনোই প্রকাশ করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু সম্প্রতি সালাহ খাশোগি তাদের ক্ষমার ঘোষণা দেয়ায় এখন তাদের শাস্তির পথ বন্ধ হয়ে গেল। ক্ষমার ঘোষণার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। ক্ষমা করার কারণ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
আসামিদের বিচার প্রক্রিয়া ও ক্ষমা ঘোষণার বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরো বিচার কাজটি সৌদি কর্তৃপক্ষ এমনভাবে এগিয়েছে যেন ক্ষমার মাধ্যতে দোষীরা মুক্ত হতে পারেন। খাশোগিপুত্র সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছন।
কিন্তু খাশোগিপুত্র কেন এমন করলেন? মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সালাহ খাশোগি টুইটার এক পোস্টে বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমার কথা বলেছেন। সেখানে তিনি কোরআনেরক্ষমার মহত্ত্ব সম্পর্কিত আয়াতও তুলে ধরেন।
তবে সালাহ খাশোগি টুইটারে পোস্ট দিলেই আসামিরা ক্ষমা পেয়ে যাবেন না। এজন্য তাকে আদালতে গিয়ে ক্ষমার বিষয়টি লিখিতভাবে জানাতে হবে। কিন্তু তার আগেই টুইটারে পোস্ট করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমাজে বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে খাশোগি হত্যার তদন্ত কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অ্যাগনেস কালামার্ড সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বিচারের নামে করা তামাশার অংশ হিসেবে এ ঘটনাটি ঘটাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ; যার মাধ্যমে তারা নিষ্কৃতি পাবে বলে মনে করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতারিত হওয়ার জন্য একেবারেই প্রস্তুত নয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষের বিচারের জন্য অপেক্ষা না করে অ্যাগনেস কালামার্ড আন্তর্জাতিক মহলকেই বিচারের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে এমনকি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি আরবের শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তির সংযোগের বিষয়টিরও পুনরুল্লেখ করেন তিনি।
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- বাজুসের রাতারাতি সিদ্ধান্তে সোনার দাম তলানিতে,জেনেনিন ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- তরুণী মা'রধরের নেপথ্যে লঞ্চের ভেতরে সেদিন কী ঘটেছিল, ভিডিও প্রকাশ্যে
- বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো পার্থর স্ত্রীকে
- জামায়াত ইসলমীর আপিল শুনানি নিয়ে যে আদেশ দিলো আদালত
- জামায়াত-এনসিপি ‘বন্ধুত্বে’ হঠাৎ ফাটল
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- যে কারনে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল
- টাকা ছাপিয়ে বাজেট নয়! চমকে দেওয়া ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় : সর্বশেষ আপডেট
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- শেয়ারবাজারে সংকট: সমাধানে বিএমবিএর পাঁচ বছরের পরিকল্পনা
- মুহুর্তেই ভাইরাল রোমান্সে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন