প্রবাসে আরও ১১ বাংলাদেশির মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-নাইনটিনে আক্রান্ত হয়ে একদিনে রেকর্ড ১১ বাংলাদেশিসহ ১৮৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মারা গেলেন ১২১ বাংলাদেশি। সব দেশকে ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারা গেছেন সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৫৭৭ জন।
মৃতদের পরিচয়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আসাদ ইকবাল (৫৫), শরিয়তপুরের রতন শিকদার (৬৩), চট্টগ্রামের বোয়ালখালির চরখিজিরপুরের আব্দুল মান্নান (৬০), সিলেটের বিয়ানিবাজারের এনাম হোসেন (৪৬), জকিগঞ্জের হায়দ্রাবন্দ গ্রামের আজিজুন্নেসা (৬৪), বাকেরগঞ্জের আবুল হোসেন(৬৪), নিউইয়র্কে সিলেট সদর সমিতির সভাপতি এস্টোরিয়া নিবাসী দেওয়ান শাহেদ চৌধুরীর বড়ভাই দেওয়ান আফজাল চৌধুরী (৭২), ব্রঙ্কস নিবাসী ও সিলেটের ওসমানীনগরের সন্তান খন্দকার মোসাদ্দেক আলী সাদেক (৬৫), ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার খ্যাতনামা সমাজকর্মী-চিকিৎসক এম এ মান্নান (৮১), মায়ামীতে বসবাসরত সিরাজগঞ্জের সন্তান মোহাম্মদ হক সুইট(৫০) এবং পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের হ্যাটফিল্ড সিটির অধিবাসী এবং পাবনার সন্তান পূর্ণচন্দ্র সাহা (৮০)।
কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় বিশ্বের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবারও রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্ক-উদ্বেগ যেন আরো বাড়ছে কমিউনিটিতে।
নিউইয়র্ক থেকে ফজিলাতুননেসা মুন্নী বলেন, আমরা এখানে সবাই কিছু না কিছুভাবে আক্রান্ত। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধব মহল, পরিচিতদের কেউ না কেউই আক্রান্ত।
এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। করোনাকে পরাস্ত করতে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।
এমন পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় থাকা নিউইয়র্ক সিটির সব স্কুল পুরো শিক্ষাবর্ষের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
এই কোভিড নাইনটিনে লকডাউন, দেশের অর্থনীতি আবারো চালু করাসহ নানা বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।