হেলে পড়া মসজিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায়
নামাজে দাঁড়ানোর সময় নিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলেও সেজদায় যেয়ে দেহের ভারসাম্য রাখা অনেক ক'ষ্টের হয়ে পরে। রুকুতে গেলে কিছুটা হেলে পড়তে হলেও সেজদায় গেলে মনে হয় পুরো দেহ একেবারে গড়িয়ে পরবে। পদ্মা'র গ্রাসে ম'সজিদের মেজের অংশসহ বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
ম'সজিদের ঈ'মাম আব্দুল হাই জানান, নামাজের জন্য জামাত বাধা হলে সেই সময় মু'সল্লিদের মনে বিপদের শ'ঙ্কা না থাকলেও স্বজনরা উৎকণ্ঠায় থাকেন। সবকিছু ছাপিয়ে পাঁচ ওয়াক্তেই জামাতের ব্যবস্থা হয় প্রতিদিন। তবে সেই জামাতে মু'সল্লির সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
মু'সল্লি খালেক শেখ বলেন, দিনের পর দিন যেভাবে ম'সজিদটি হেলে পরছে তাতে যেকোনো সময় পুরোটা ধসে পরতে পারে পদ্মা'র বুকে।
ম'সজিদ কমিটির সভাপতি লতিফ হাওলাদার বলেন, নতুন করে অন্য জায়গায় কোনো রকমে একটি ম'সজিদ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। মাত্র চার বছর আগে আধুনিক আদলে তৈরি করা ম'সজিদ ভবনটি এতো অল্প সময়ে পদ্মা'র থাবায় ভেঙে পরবে তা ভাবতে পারেনি।
টঙ্গীবাড়ীর ইউএনও হাসিনা আক্তার জানান, ম'সজিদ এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হলে আম'রা বেশ কিছু বালু ভর্তি ব্যাগে ম'সজিদ রক্ষায় ওই স্থানে ফেলেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ওই এলাকার মু'সল্লিদের জন্য একটি ব্যবস্থা নেবো।