সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা কত তা জেনে নিন
পরিসংখ্যান অনিযায়ী পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা প্রায় সমান। সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি অডিটোরিয়ামে পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর এসব তথ্য তুলে ধরেন যুগ্ম পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক। বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৭ লাখ। ২০১৬ সালের ১ জুলাইতে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখে।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গেলো ৫ বছরে (২০১২-২০১৬) মুসলমানের সংখ্যা কমেছে ০.৪ ভাগ। ২০১২ সালে মোট জনসংখ্যার ৮৮.৮ ভাগ মুসলমান ছিল, ২০১৬ সালে এটি কমে হয়েছে ৮৮.৪। যেখানে ২০১২ সালে অন্য ধর্মের হার ছিল ১১.২ শতাংশ, এটা ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ শতাংশে।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৭ লাখ। ২০১৬ সালের ১ জুলাইতে এই জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখে। আর গত ছয় মাসে মোট জনসংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৯ লাখ।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে ব্যুরো এ জরিপ করে। তখন নমুনা খানা ছিল ২২ লাখ ৮৭২টি। গত পাঁচ বছরে লিঙ্গানুপাত কমেছে। নারী-পুরুষের লিঙ্গানুপাত ২০১২ সালে যেখানে ১০৪.৯ ছিল, তা ২০১৬ সালে ১০০.৩ অনুপাতে দাঁড়ায়।
দেশে পরিবার প্রতি সদস্য সংখ্যাও কমেছে। পাশাপাশি কমেছে নির্ভরতার অনুপাত। ২০০২ সালে নির্ভরতার হার ছিল ৮০ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে।