দক্ষিন আফ্রিকার কফিনের শেষ পেরেক মারলেন মোস্তাফিজ
প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেটের পরে বাংলাদেশের দিকেই ঝুকে পড়েছিল ওভালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম দক্ষিন আফ্রিকার ম্যাচ।
কিন্তু পরবর্তী ওভার থেকেই হীতে বিপরীত হতে শুরু করে বাংলাদেশের ইনিংস।
প্রথমে সৌম্য সরকারের ডেভিড মিলারের ক্যাচ তালুবন্দী করতে না পারা। এরপর মোসাদ্দেকের ডেলিভারি ভ্যান ডার ডুসেনের স্ট্যাম্পের পাশ ঘেষে মুশফিকের গ্লাভসকে ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত চার রান যোগ করা। আর সবশেষ মাহমুদউল্লাহর মিলারের ক্যাচ ধরতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলা।
টাইগারদের ব্যর্থতায় ও ভাগ্য দোষে ইতিমধ্যেই মাত্র ৪৬ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মিলার ভ্যান ডুসেন জুটি।
একের পর এক জীবন পেয়ে যখন ডেভিড মিলার ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। ছিটকে ফেলছিলেন টাইগারদের ম্যাচ থেকে ঠিক সেই সময় বোলিংয়ে এসেই মিলারকে প্যাভলিয়নের পথ ধরালেণ মোস্তাফিজ।
ওভালে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩৩১ রানের টার্গেটে যখন পথের কাঁটা হয়ে দাড়াচ্ছিলেন ডু প্লেসিস, তখনই ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে প্রোটিয় অধিনায়ককে শিকার করেন মিরাজ। মাত্র ৫৩ বলে ৬২ রান করে ব্যাট করতে থাকা ডু প্লেসিস মিরাজের বলে বোকা বনে বোল্ড আউট হন।
জবাবে শুরুতে মুশফিক ক্যাচ মিস করলেও রান আউট করতে কোনো ভূল করলেন না। ইনিংসের ১০ম ওভারে মিরাজের বলে ডি ককের ব্যাট ঘেষে গ্লাভসে আসা বলটি তালুবন্দি করতে না পারলেও ক্যাচ মিস করে রান আউট করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছেন।
২৩ রান করে ব্যাট করতে থাকা ডি কক ক্যাচ মিসের পর দৌড়ে এক রান নেওয়ার চেষ্টা করলেই সরাসরি থ্রোতে তাকে রান আউটের ফাদে ফেলেন মুশফিক।
সাকিবের বলে ব্যাটফুটে চেপেই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন অ্যাডাম ম্যাকরান। সরাসরি স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানলো সাকিবের ফ্লিপার। দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এরপর মিলার, ডু প্লেসিস ও ভ্যান ডুসেনের উইকেটও তুলে নেয় টাইগাররা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৪৮ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৯২ রান।
জয়ের জন্য ১২ বলে দক্ষিন আফ্রিকার প্রয়োজন ৪০ রান।
এর আগে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে দক্ষিন আফ্রিকাকে ৩৩১ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিমের ৭৮, সাকিবের ৭৫ ও মাহমুদউল্লাহর শেষমূহুর্তের ৩৩ বলে ৪৬ রানের এক ক্যামিও ইনিংসে ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের একাদশ: তামিম, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ: কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), ভেন ডার ডাসুন, অ্যাডাম মার্কওরাম, মিলার, জেপি ডুমিনি, আন্দিলে ফেহলুকায়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, ইমরান তাহির ও লুঙ্গি এনজিডি।