গত আসরের পারিশ্রমিকই পাননি ক্রিকেটাররা
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রতি মৌসুমে একাধিক ক্লাবের পারিশ্রমিক জটিলতা নিয়ে অভিযোগ। নিজ নিজ ক্লাবের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ পারিশ্রমিক বুঝে না পাওয়ায় প্রতি মৌসুম শেষেই বোর্ডের শরণাপন্ন হতে দেখা যায় ক্রিকেটারদের। এই সমস্যা সমাধানে সবসময়ই আশ্বাস দিয়েছে সিসিডিএম। কিন্তু কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হয়নি।
প্রতিবছরই একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ক্রিকেটারদের। ডিপিএলের কিছু কিছু ক্লাবের বিরুদ্ধে বেতন পরিশোধে অনিয়মের অভিযোগ চরমে। নতুন মৌসুম শুরুর হয়ে গেলেও গত মৌসুমের পারিশ্রমিক বুঝে পান না ক্রিকেটাররা। গত মৌসুমের সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক এখনো বুঝিয়ে দেয়নি একাধিক ক্লাব। এই বিষয়ে ক্রিকেটাররা বলেন, “পারিশ্রমিক নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকায় অনেক সময় খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সের ওপর তার প্রভাব পড়ে। বোর্ড সবসময় আশ্বাস দিলেও তা কাজে পরিণত হয় কম।” বরাবরের মতো সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আসছে সিসিডিএম। সিসিডিএম এর সমন্বয়ক আমিন খান জানান, “কিছু ক্লাব ইতোমধ্যেই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক শোধ করে দিয়েছে। যদি আরো কোন ক্লাবের নামে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
পারিশ্রমিক ছাড়াও প্লেয়ার বাই চয়েজ পদ্ধতি নিয়েও আক্ষেপ আছে ক্রিকেটারদের। প্রথম থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্লেয়ার বাই চয়েজ পদ্ধতি নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান ক্লাব ও ক্রিকেটারদের। এবারও প্লেয়ার বাই চয়েজ পদ্ধতিতে দলগঠন ও বিসিবির বেঁধে দেয়া মানদণ্ডে নির্ধারিত হবে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক। এবার ডিপিএলের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের উপার্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। তাই এই আসরে প্লেয়ার বাই চয়েস পদ্ধতি নিয়ে ক্রিকেটারদের রয়েছে চাপা আক্ষেপ। ক্রিকেটাররা জানান, “অনেক খেলোয়াড়ের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ডিপিএল হওয়ায় প্লেয়ার বাই চয়েস পদ্ধতি তাদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।”
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে প্লেয়ার ড্রাফট আর ১ মার্চ মাঠে শুরু হবে এবারের আসর