পুরুষদের ম্যাচে আম্পায়ার দুই নারী
নারীদের ক্রিকেটেও বেশিরভাগ ম্যাচে পুরুষ আম্পায়াররা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পুরুষ ক্রিকেটে তাই নারী আম্পায়ারের কথা ভাবতেও পারেন না অনেকে। তবে বদল আসছে মানসিকতায়, তাই নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছেন দুর্বার গতিতে। এরই দৃষ্টান্ত হয়ে যেন অস্ট্রেলিয়ায় ঘটতে চলেছে পুরুষ ক্রিকেটে নারীর ম্যাচ পরিচালনার ঘটনা।
চলতি সপ্তাহের শেষেই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির প্রিমিয়ার (ক্লাব) ক্রিকেট টুর্নামেন্টে টি ট্রি গালি ও নর্দার্ন ডিসট্রিক্টের মধ্যকার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
শেরিড্যানের জন্য অবশ্য এটিই প্রথমবারের মত পুরুষ ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের ঘটনা নয়। দেড় বছর আগে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান প্রিমিয়ার লিগে একটি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছিলেন তিনি। তবে ইতিহাস গড়ার পথে তার সঙ্গী ওয়ালসড্রন এমন কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন এই প্রথম। সর্বশেষ আইসিসি প্রমীলা টি-২০ বিশ্বকাপে তিনি খেলেছেন আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে। এরপরই মনোনিবেশ করেছেন আম্পায়ারিংয়ে। খেলোয়াড়ি জীবনে ক্রিকেটের পাশাপাশি পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ফুটবলও খেলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান রাজ্য পর্যায়ের আম্পায়ারদের কোচ ড্যানিয়েল গুডউইন বলেন, ‘আমাদের রাজ্য টুর্নামেন্টগুলোতে প্রথম নারী আম্পায়ারদের আবির্ভাব ঘটছে, এটি দেখতে পারা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। প্রথম দুই অস্ট্রেলীয় হিসেবে পুরুষ ইভেন্টে আম্পায়ারিং এলয়েস ও মেরীর জন্য দারুণ কীর্তি। গত কিছু মৌসুমে তারা কত কঠোর পরিশ্রম করেছে তার উদাহরণ এই অর্জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ম্যাচে আম্পায়ারদের দায়িত্ব দিয়ে থাকি তাদের মেধার বিবেচনা করেই। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও আম্পায়ারিংয়ে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। তারা সত্যিই এমন দায়িত্ব পালনের যোগ্য। উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট ম্যাচে তারা দায়িত্ব পালনের যোগ্য হয়ে উঠছেন।’
প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলোতে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি নারীদের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে উৎসাহ প্রদান করতে বেশ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।