অল-আউট হলো বাংলাদেশ
বোল্টের প্রথম ওভারেই ক্যাচ আউট হন তামিম ইকবাল। নড়বড়ে ছিলেন তার আরেক সঙ্গী লিটন কুমার দাসও। পরের ওভারেই হেনরির বলে বোল্ড হন লিটন। দ্রুত দুই উইকেট পড়ে গেলেও সৌম্য সরকার প্রথম থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হন মুশফিকুর রহিম। ঐ ওভারেই বোল্টের করা বাউন্স হেলমেটে লাগে। বড় কোন ক্ষতির মুখে পড়েননি মুশফিক তবে ক্ষতিটা হয়েছে বাংলাদেশের।
বোল্টের করা পেস ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড আউট হন মুশফিক (৫)। পরের ওভারে হেনরির বলে আউট হন দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য। তিনি আউট হন ২২ বলে ৩০ রান করে। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন হাল ধরার চেষ্টা করেন মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ৭১ রানে ফার্গাসনের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সাব্বির নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন।
Also Read - অধিনায়ক মাশরাফির ইতিহাস রচনাস্যান্টারের বলে শরীরের ব্যাল্যান্স হারিয়ে ফেলাতে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন সাব্বির। মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহটা বড় করার চেষ্টা চালিয়ে চান মিঠুন। ভালো খেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মিরাজ। ২৭ বলে ২৬ রান করে স্যান্টারের বলে আউট হন মিরাজ। তবে ৮ম উইকেট জুটিতে ভাগ্য পরিবর্তন হয় বাংলাদেশের। মিঠুনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান করেন সাইফউদ্দিন।
দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে বড় সংগ্রহের আশা দেখাচ্ছিল। মিঠুন তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। মিঠুন-সাইফের ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন স্যান্টার। ৪১ করে আউট হন সাইফউদ্দিন। মিঠুনও ফিরে যান একটু পরে। ব্যক্তিগত ৯০ বলে ৬২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে ফার্গাসনের বলে বোল্ড হন মিঠুন। শেষ পর্যন্ত ২৩২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট লাভ করেন স্যান্টার ও বোল্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ ২৩২ (ওভার ৪৮.৫)
মিঠুন ৬২, সাইফউদ্দিন ৪১ঃ স্যান্টার ৩-৪০