এই আন্দোলনে আমি বিশ্বাসী নই
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে পদত্যাগ করলেন কেন?
আমি ২০১৭-১৯ মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছি। বিজয়ী হওয়ার পর কিছু কাজেরও দায়িত্ব কাঁধে পড়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত নানা সমস্যার কারণে আমার ওপর শিল্পী সমিতির অর্পিত দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এ কারণে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তাহলে এত যে উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন...
আমি এখন নিয়মের মধ্যে চলি। নিয়মের মধ্যে থেকেই কাজ করি। যখন দেখি সেই নিয়মের সঙ্গে অন্য কারও আচরণ মিলছে না, তখন কাজের উত্সাহ পাই না। সেখানে কাজও করি না। বর্তমান শিল্পী সমিতিতে থেকে আমি কতটুকু কাজ করতে পারব, সেটাও নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।
বর্তমান শিল্পী সমিতিকে নিয়ে আপনার প্রত্যশা কেমন?
এই কমিটিতে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে। এরই মধ্যে তাঁরা ভালো কিছু করার চেষ্টা করছেন। চলচ্চিত্রের জন্য বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করছেন। তবে এই আন্দোলনে আমি বিশ্বাসী নই। আমরা তো একই পরিবারের। নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব কেন? এতে তো বাইরের মানুষ হাসবে। সঠিক নিয়মের কথা শিল্পী সমিতি বলবে, সেটাই কার্যকর হবে। এখন যদি শিল্পী সমিতির কথা কেউ না মানে, তাহলেও সেটা সমিতির ব্যর্থতা। শিল্পী সমিতি নিয়মের মধ্য থেকে যা বলবে, চলচ্চিত্রের শিল্পীরা সবাই তা মেনে চলবেন।
ভবিষ্যতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আর দাঁড়াবেন না?
নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইচ্ছা আপাতত নেই। আগেও ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু অনেক সময় হয় কী, নিজেদের মানুষ যখন এ ধরনের নির্বাচনে অংশ নেন, তখন আমারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ আসে। ইচ্ছা না থাকলেও নির্বাচন করেছি এবং সবার ভালোবাসায় ভোট পেয়ে নির্বাচিতও হয়েছি।
এখন কী কী ছবির শুটিং করছেন?
আজ থেকে (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের লোকেশনে এ কে সোহেলের পবিত্র ভালোবাসা ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। ৭ জুলাই পর্যন্ত এখানে শুটিং করার কথা। এ ছাড়া মনতাজুর রহমান আকবরের দুলাভাই জিন্দাবাদ ছবির কাজ অনেকখানি এগিয়েছে। এখন শুটিং বন্ধ আছে। কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে।