‘আর্জেন্টিনাকে কষে চড় লাগিয়েছে স্পেন’
খোদ হোর্হে সাম্পাওলি বলছেন, ‘এই ম্যাচে যা হয়েছে, তার দায় আমাদের নিতে হবে। বিশ্বকাপে এমনটা ঘটলে চলবে না। স্পেন আমাদের গালে কষে চড় লাগিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি, আমাদের এখনো অনেক কাজ করার বাকি।’
গতকালের পরাজয়ের পর বেশির ভাগ সমালোচনা ধেয়ে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা কোচের দিকে। সাম্পাওলি বাস্তবতা মানছেন, ‘সবকিছু ঠিকমতো বিশ্লেষণ না করলে এ ধরনের ম্যাচের ফলাফল কোচের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। আমাকে এই ম্যাচটি খুব ভালোমতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। এর যে একটি মানসিক ধাক্কা আছে, সেটাও সামলাতে হবে।’
প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। এমনকি গঞ্জালো হিগুয়েইন গোলমুখ থেকে গোল করতে ব্যর্থ না হলে স্কোরটা হতো ২-২। সেখান থেকে ৬-১ গোলের পরাজয়? কী এমন হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে? সাম্পাওলি মনে করেন, স্পেনের শক্তিটা সঠিকভাবে যাচাই করে নেয়নি আর্জেন্টিনা, ‘ওদের কাছ থেকে আমরা এতটা ধাক্কা আশা করিনি। দ্বিতীয়ার্ধে স্পেন আমাদের ঠেসে ধরেছিল সরাসরি আক্রমণ করতে পেরে। পরপর কয়েকটি গোল হয়ে যাওয়ায় ফলাফলটা এমন হলো।’
ভাগ্য ভালো এই বিপর্যয় স্রেফ একটি প্রীতি ম্যাচেই এসেছে। সেটিও বিশ্বকাপের সোয়া দুই মাস আগে। সাম্পাওলি বেশ সময় পাবেন বিশ্বকাপে যেন এমন না ঘটে তার উপায় বের করার। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আর্জেন্টিনা কোচ মোটামুটি যে স্কোয়াড ভেবে রেখেছিলেন, যা নিয়ে আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থকই সন্তুষ্ট নয়, তাতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাই বেশি। বেশ কজন খেলোয়াড়ের ওপর কোপ পড়তে যাচ্ছে।
সাম্পাওলি আভাস দিয়েছেন, ‘এই ফলাফল পরিষ্কার করে দিল যে চূড়ান্ত স্কোয়াড গোছানোর আগে এই ম্যাচটাকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। আরও কাজ করতে হবে। যেন এ ধরনের ঘটনা বিশ্বকাপে না ঘটে। আমাদের লক্ষ্য ছিল বলের দখল বেশি রেখে রক্ষণ সামলাব। আক্রমণ আর রক্ষণে যে ভারসাম্য আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম রক্ষণাত্মক দৃষ্টিকোণ থেকে, তা এই ম্যাচে পাইনি।’