মাঠে উত্তেজনার পর ১ মারেই ২৩০০০ দর্শককে কাঁদিয়ে মাঠ ছাড়া করলেন মাহমুদউল্লাহ
শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৬০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ হন লিটন দাস। তিন বল খেলে শূন্য রান করেন তিনি। লিটন দাসের পর সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির রহমান। দলীয় ৩৩ রানে আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। আট বল খেলে ১৩ রান করেন তিনি।
দলীয় ৯৭ রানে আমিলা আপোনসোর বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ হন মুসফিকুর। ২৫ বল খেলে ২৮ রান করেন তিনি। ইনিংসের ১৪তম ওভারে দানুশকা গুনাথিলাকার বলে স্ট্যাম্পিং হন তামিম। ৪২ বল খেলে ৫০ রান করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার পঞ্চম অর্ধশত।
দলীয় ১০৯ রানে জীভন মেন্ডিসের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য সরকার। ১১ বল খেলে দশ রান করেন তিনি। এরপরে সাকিব অাউট হলে জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১২ রান প্রয়জন হলে প্রথম দুই বল ডট দেয় মোস্তাফিজ। পরের বল ৪ অার চতুর্থ বলে ২ নেন মাহমুদউল্লাহ।
নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচটিতে এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম দশ ওভার নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশের।
দশ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান। কিন্তু পরবর্তীতে কুসল পেরেরা ও থিসারা পেরেরার ব্যাটিং তাণ্ডবে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচটিতে ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে কুসল পেরেরা ৪০ বল খেলে করেছেন ৬১ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার দশম অর্ধশত। অন্যদিকে, ৩৭ বল খেলে ৫৮ রান করেছেন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার প্রথম অর্ধশত।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ চার ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। সাকিব আল হাসান দুই ওভার বল করে নয় রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, সৌম্য সরকার ১টি ও রুবেল হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।