বাংলাদেশ কে না করে দিল পাপনের সেই পরিচিত কোচ
প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন যে প্রধান কোচ হিসেবে যোগ্য লোক পাওয়া গেছে। নাম না জানালেও তাঁকে ‘চেনা মুখ’ বলে বর্ণণা করেছিলেন বিসিবি বস।
বুধবার কলম্বোয় সংবাদমাধ্যমকে কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গে বিসিবি প্রধান বলেছিলেন, ‘প্রধান কোচের ব্যাপারে সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। এপ্রিলের যে কোনও সময়ে কাজে যোগ দেবেন, সেটা প্রথম সপ্তাহেও হতে পারে। এই মুহূর্তে এটুকুই বলতে চাই।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর ঘরের মাঠে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের জন্য দলের সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই সাথে খালেদ মাহমুদ সুজনকে দেওয়া হয়েছিল টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব। তবে শ্রীলঙ্কায় শুরু হওয়া নিদাহাস ট্রফিতে অন্তবর্তীকালীন হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে।
ক’দিন আগেই অবশ্য গুঞ্জন রটেছিল ফাকা পড়ে থাকা হেড কোচের আসনে কড়া হেডমাষ্টারের চাওয়া থেকেই আবার এই পদে বসানোর জন্য পাকাপোক্ত কথা হয়ে গেছে তামিম-সাকিবদের সাবেক গুরু রিচার্ড পাইবাসের সাথে। তবে পাইবাস জানায়েছিল উল্টোটাই, বাংলাদেশের দায়িত্ব এখন নিতে চান না তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেললেও ৪০ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন পল ফারব্রেস। উইকেটরক্ষক হিসেবে ক্যাচ নিয়েছেন ৮৯টি, আর স্টাম্পিং ১২টি। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ ছিলেন তিনি। সে সময় শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রেভর বেইলিস।
২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পল ফারব্রেস। তার অধীনে চার মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশকে ঘরের মাটিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে হারানোর পর এশিয়া কাপ ও ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
বর্তমানে ট্রেভর বেইলিসের সহকারী হিসেবে ইংল্যান্ডকে সার্ভিস দিতে থাকা পল ফারব্রেসের ট্র্যাক রেকর্ড দারুণ। গত ১০ ওয়ানডে সিরিজের ৯ টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। ২০১৬ তে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে রানার আপ হয়েছিল ইংল্যান্ড।
ফিল সিমন্স ও রিচার্ড পাইবাস অন্যত্র কাক খুঁজে নিয়েছেন। বিসিবি প্রধান কোচ নিয়োগে প্রস্তাব দিয়েছিল অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, টম মুডি, মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারাদের। বলাই বাহুল্য তাদের প্রত্যেকেই অপারগতা স্বীকার করেছেন।