বিমান হামলার টার্গেটে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা: র্যাব
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের মতো সংবেদনশীল স্থানে সাব্বির চাকরি করতেন। যেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের যাতায়াত রয়েছে। অথচ সেখানেই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রিক্রুট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।’
এর আগে ভোরে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর সহযোগী জেএমবির সদস্য সাব্বির এনাম সাব্বির (৩১), তার মা মোসাম্মৎ সুলতানা পারভীন (৫৫), সাব্বিরের মামাতো ভাই আসিফুর রহমান আসিফ (২৫), স্থানীয় চা দোকানি মোহাম্মদ আলমকে (৩০) গ্রেফতার করে র্যাব-৪।
সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, সাব্বির ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ২০১০ সালে থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারওয়েজে চাকরি করেন। ওই বছরই তিনি বিমানের পাইলটের চাকরি নেন। বিমানের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে সাব্বির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চালাতেন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। তবে জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল।
নিহত জঙ্গি সারোয়ার জাহানের কাছ থেকে সাব্বির বায়াত (শপথ/প্রশিক্ষণ) গ্রহণ করেন। গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলার আগে ও পরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার। এরই অংশ হিসেবে সাব্বির বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাতের পরিকল্পনা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।