সিপিএলে শেষ হলো সাকিবের ফাইনাল ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
গায়না অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বার্বাডোজ। ফাইনালে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হত গায়না অ্যামাজনকে। কারণ এর আগে এত রান তাড়া করে সিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ জেতেনি কেউ। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেন বার্বাডোসের ২ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস এবং জনসন চার্লস। তবে দ্রুতই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বার্বাডোস।
দলীয় ৪৩ রানের মাথায় ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস। ০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ব্যাটসম্যান ফিল সল্ট। তবে অন্য প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন জনসন চার্লস। দলীয় ৭২ রানের মাথায় ২২ বলে ৩৯ রান করে ইমরান তাহিরের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জনসন চার্লস।
ব্যাটিংয়ে নেমে হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। তবে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে পড়ে বার্বাডোস। ৮ রান করে শাই হোপ এবং ১ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তবে দুঃখজনক ভাবে এই দিনে রান আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
১৫ বলে ১৫ রান করেন সাকিব। জোনাথন কার্টারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সাকিব। তবে সাকিবের রান আউট পুষিয়ে দিয়েছেন জোনাথন কার্টার। ২৬ বলে তুলে নেন ফিফটি।
শেষের দিকে জোনাথন কার্টারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভালো পুঁজি পায় বার্বাডোস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করেছে বার্বাডোস। জোনাথন কার্টার ২৭ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় গায়না অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। দলীয় ১২ রানের মাথায় চন্দ্রপল হেমরাজের দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরন সাকিব। ১ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন রেমন রেফার।
দলীয় ৩০ রানের মাথায় আরো একটি উইকেট তুলে নেন রেমন রেফার। এবার শিমরন হেটমায়ারকে ৯ রানে আউট করেন তিনি। দলীয় পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। গুরুত্বপূর্ণ ওই ওভারে সাকিব দেন মাত্র ৫ টি রান।
কিন্তু দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ব্র্যান্ডন কিং এবং শোহেব মালেক। তবে দলীয় ৫৩ রানের মাথায় ৪ রান করা মালিককে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লেগ স্পিনার হ্যাডেন ওয়ালশ। তবে নিকোলাস পুরান কে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্র্যান্ডন কিং।
এদিন বল হাতে জ্বলে ওঠেন অ্যাশলে নার্স। তবে দলীয় ৭৯ রানের মাথায় ৪৩ রান করা ব্র্যান্ডন কিং এবং ৮৮ রানের মাথায় পুরানকে অাউট করেন অ্যাশলে নার্স। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় শেরফেন রাদারফোর্ড অাউট হলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় সাকিবদের। ২ ওভার বোলিং করে সাকিব দেন ১৮ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে গায়না অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।