যমজ সন্তান, একজন মা, দুইজন বাবা এবং তিনটি দেশ
আর এমন ঘটনা ঘটেছে কানাডায়। দুই ব্রিটিশ ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিলেন যে তারা বাবা হবেন। তবে এই বাবা হওয়া তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আর সে জন্য সায়মন এবং গ্রিম বার্নি-এডওয়ার্ডস নামে দুই ব্রিটিশ ব্যক্তির দুটি ভ্রূণ একই সঙ্গে একই সময়ে একজন সারোগেট মায়ের শরীরে ইমপ্ল্যান্ট করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে সায়মন বলেন, সন্তান জন্মদানের জন্য আমরা কানাডাকে বেছে নিয়েছিলাম। কারণ কানাডার আইনি প্রক্রিয়া আমাদের পছন্দ হয়েছে। এই সন্তান জন্মদানের পদ্ধতি অনেকটা যুক্তরাজ্যের মতো। সন্তান জন্মদানের এই পদ্ধতিকে তারা কল্যাণ হিসেবে দেখছেন।
জানা গেছে, ব্রিটিশ দম্পতির ভিট্রো ফার্টিলাইজেশান বা আইভিএফ-গর্ভাধান পদ্ধতির সময় দুইজনের থেকে একটি করে ভ্রূণ বেছে নেয়। দুটি ভ্রূণ একই সঙ্গে একই সময়ে একজন সারোগেট মায়ের শরীরে ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। কানাডার নাগরিক সারোগেট মায়ের নাম মেগ স্টোন। যিনি সায়মন এবং গ্রিমের সন্তান জন্ম দেয়ার ব্যাপারে রাজি হয়ে যান।
এ বিষয়ে সায়মন আরও বলেন,আমাদের গর্ভাধারনের চিকিৎসা করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে। এ সময় ভেগাসে আমরা একজন সারোগেট মাকে পেয়ে যাই। সারোগেট মায়ের শরীরে অর্ধেক সায়মন ও অর্ধেক গ্রিমের শুক্রাণু ফার্টিলাইজ করা হয়। শক্তিশালী ভ্রূণটি থেকে গর্ভধারণ করেন এই সারোগেট মা।
এ দিকে সন্তান জন্মদানের এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ওই দুই ব্রিটিশ ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন। তবে প্রতিনিয়ত কানাডা থেকে একটা ভাল খবরের প্রতীক্ষায় থাকতেন তারা। অবশেষে তাদের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে। পরে ওই মা কানাডায় দুটি জমজ সন্তানের জন্ম দেন।
আর সায়মন এবং গ্রিম তাদের জমজ সন্তান নিয়ে ভীষণ খুশি। তাও আবার দুজনের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এ কারণে এই দুই বাবার কণ্ঠে এখন একটাই কথা ‘নেভার সে নেভার’, ‘কখনও হবেনা বলবেনা।’