হেড কোচ নিয়োগ : ভারতের দিকে চেয়ে আছে বিসিবি
বাংলাদেশের প্রধান কোচ হওয়ার জন্য এরই মধ্যে বিসিবির কাছে সাক্ষাত্কার দিয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ডমিঙ্গোর মতোই কখনো পেশাদার ক্রিকেট না খেলা কোচ হলেন হেসন। আর এই দুজনই আপাতত বিসিবির শর্টলিস্টের ওপরের দিকে আছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, এখনো বিসিবির বিবেচনায় আছেন শ্রীলঙ্কার অধ্যায় শেষ করতে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। আবার বিসিবিরই একটা অংশের মত হলো—যেভাবে তিনি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাতে তাকে আরেকবার কোচ করা ঠিক হবে না। বিসিবি পরিচালকদের সবচেয়ে বেশি পছন্দে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ হেসন।
নিউজিল্যান্ডকে ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলা হেসনকে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান; তিন বোর্ডই কম-বেশি পছন্দ করছে। ভারতীয় বোর্ড এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ছয় কোচ—রবিশাস্ত্রী, মাইক হেসন, টম মুডি, রবিন সিং, লালচাঁদ রাজপুত এবং ফিল সিমন্স। এই ছয় জনই আগামীকাল সাক্ষাত্কার দেবেন বিসিসিআই কার্যালয়ে। ভারতের সঙ্গে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকা শাস্ত্রী সাক্ষাত্কার দেবেন স্কাইপে।
এদের ভেতর থেকে একজনকে কোচ হিসেবে বেছে নেবেন কপিল দেব, আংশুমান গায়কোয়াড় ও সান্থা রাঙ্গাসোয়ামীর কমিটি। ভারতীয় জাতীয় দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দুই হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়েছিলো বলে জানা গেছে। এর মধ্যে প্রধান কোচ পদে হেসন অনেকের চেয়ে এগিয়ে আছেন। বিরাট কোহলির পছন্দে রবিশাস্ত্রীর চাকরি টিকে গেলে আলাদা কথা। নইলে হেসন হয়ে যেতে পারেন ভারতের পরবর্তী কোচ।
ভারত যদি হেসনকে বেছে নেয়, তাহলে বাংলাদেশের হাতে পরিষ্কার প্রার্থী থাকবেন একজন—রাসেল ডমিঙ্গো। সে ক্ষেত্রে বিসিবি সরাসরি ডমিঙ্গোকে নিয়োগ দিয়ে দিতে পারে। অথবা তারা নতুন করে আবার কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এরই মধ্যে বিসিবি যোগাযোগ করেও ‘না’ শুনেছে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, পল ফারব্রেসের মতো কয়েকজনের কাছ থেকে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদি হেসনকে বেছে নেয়, তাহলে অবশ্য বিসিবির সামনে অন্য দুটি দুয়ার খুলে যাবে। এর আগে বাংলাদেশে আসার জন্য একবার সাক্ষাত্কার দেওয়া ফিল সিমন্সকে পেতে পারে তারা। আর অনেকদিন ধরেই কাঙ্ক্ষিত টম মুুডিকে আরেকবার চেষ্টা করতে পারে বিসিবি। মুুডি অবশ্য বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগে খুব ব্যস্ত কোচ। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ এবং বিপিএলে রংপুর রাইডার্সেরও কোচ তিনি।
ভারতের চাকরির জন্য সব টি-টোয়েন্টি লিগ ছাড়তে রাজি ছিলেন মুডি। এখন বিসিবি ভারতের মতো এত লোভনীয় প্রস্তাব তার সামনে দিতে পারবে কি না, সেটাই দেখার ব্যাপার।