সৌদির শর্তের জবাব দিল কাতার
একজন উপসাগরীয় কর্মকর্তা এএফপি’কে জানান, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল-থানি কুয়েতে সংক্ষিপ্ত সফরকালে দেশটির কাছে দোহার জবাব হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, কুয়েত এই সঙ্কট নিরসনে মধ্যস্থতা করছে। সোমবার ভোরে তাদের সময়সীমা বাড়িয়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর গত ২২ জুন তাদের ১৩টি দাবি মেনে নেয়ার জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। রোববার তাদের পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়। সোমবার তা আরো ৪৮ ঘণ্টা বাড়ানো হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কুয়েতের আমিরের অনুরোধে তারা এ সময়সীমা বাড়িয়েছে। সৌদি জোটের দাবিগুলোর মধ্যে দোহাকে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার, সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ, ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস ও ইরাকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ অন্যতম।
এর আগে শেখ মোহাম্মদ বলেছিলেন, শর্তের তালিকাটি প্রত্যাখান করা হয়েছে এবং সোমবার কাতারের পক্ষে ব্রিটিশ আইনজীবীরা এসব দাবিকে ‘আন্তর্জাতিক আদালতের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেন।
সৌদি আরব, মিসর, ইউএই এবং বাহরাইনের অভিযোগ, কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ ইসলামপন্থী একাধিক সংগঠনকে মদদ দেয়। আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলও এই তাদের সহযোগিতা করে। এ ছাড়া আঞ্চলিক শত্রু হিসেবে পরিচিত ইরানের সাথেও দোহার সুসম্পর্ক আছে।
কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলা হচ্ছে, আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে।