ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

তিন উইকেট তুলে ক্যাচ মিসের আক্ষেপে বাংলাদেশ

২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৭:১৬:৫৯

তিন উইকেট তুলে ক্যাচ মিসের আক্ষেপে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের দুর্বলতা যেন কিছুতেই কাটছে না। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনটি উইকেট তুললেও, সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে দলটি হারিয়েছে বড় ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সুযোগ। দিনের চা বিরতি পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ৪ উইকেটে ১৮৪ রান। অথচ বাংলাদেশ যদি ক্যাচগুলো ধরতে পারত, তাহলে আইরিশদের উইকেট সংখ্যা অন্তত পাঁচ বা ছয় হতে পারত।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুরুতেই সাফল্য আসে বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আয়ারল্যান্ড ওপেনার পল স্টারলিংকে ফেরান তরুণ পেসার নাহিদ রানা। ৭৬ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রথম সেশনে স্লিপে সহজ একটি ক্যাচ ফেলেছিলেন সাদমান ইসলাম, তবে এবার তিনি নিখুঁতভাবে ক্যাচটি ধরেন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আরও একটি সাফল্য এনে দেন মিরাজ। যদিও প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি, রিভিউ নিয়েই উইকেটটি নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং সামলাতে মাঠে নামেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও অভিষিক্ত ক্যাড কারমাইকেল। দুজন মিলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামলান। অভিষেক টেস্টেই ফিফটি পূর্ণ করেন কারমাইকেল, কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল ব্যাটে লেগে উঠে যায় ওপরে, প্রথম স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ ক্ষিপ্রতায় লাফিয়ে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন। আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি, তবে রিভিউতে সিদ্ধান্ত যায় বাংলাদেশের পক্ষে।

তবে এরপরই আবার পুরনো ব্যাধি। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের বলে লরকান টাকারের সহজ ক্যাচ স্লিপে ফেলেন শান্ত। এতে আবারও ম্যাচে চাপ ফিরে আসে বাংলাদেশের ওপর। টাকার তখন ছিলেন ১১ রানে, জীবন পেয়ে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। দ্বিতীয় সেশনের শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ক্যাম্ফার ও টাকার অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে নিয়ে যান ১৮৪ রানে। ক্যাম্ফার ৭১ বলে ৩৫ ও টাকার ৫০ বলে ২২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে দিনের চতুর্থ বলেই প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পেসার হাসান মাহমুদের বলে আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে দলকে স্বপ্নের সূচনা এনে দেন তিনি। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটের কাছে ছিল, তবে ব্যাট ও বলের মাঝে ফাঁকা থাকায় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি।

তবে শুরুটা ভালো হলেও বাংলাদেশ ফিল্ডারদের হাত থেকে সুযোগ একের পর এক ফসকে যায়। দ্বিতীয় স্লিপে স্টারলিংয়ের ক্যাচ ফেলেন সাদমান ইসলাম, শর্ট মিড উইকেটে কারমাইকেলের ক্যাচ ফেলেন তাইজুল ইসলাম, আর তৃতীয় স্লিপে স্টারলিংয়ের আরেকটি ক্যাচ ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জীবন পেয়ে দুই ব্যাটারই ইনিংস গড়ে তোলেন সাবধানী ব্যাটিংয়ে।

দিনের শেষে বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিলেও, ফিল্ডারদের হাতছাড়া সুযোগগুলোই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের ফিল্ডিং ইউনিটের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা এখন বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে আয়ারল্যান্ড ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করে প্রথম দিনেই ম্যাচে নিজেদের এগিয়ে রেখেছে।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে আইসিসি ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্ষোভে স্টাম্পে... বিস্তারিত