ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জাহানারা আলমকে যৌ‘ন নি‘র্যা‘তন, যে সিদ্দান্ত জানালো বিসিবি

২০২৫ নভেম্বর ০৭ ০০:০৪:২৫

জাহানারা আলমকে যৌ‘ন নি‘র্যা‘তন, যে সিদ্দান্ত জানালো বিসিবি

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে হঠাৎ করেই তৈরি হয়েছে বড়সড় এক ঝড়। জাতীয় দলের সিনিয়র পেসার জাহানারা আলম সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার, কোচ এবং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি এখন দেশের ক্রিকেট মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রথমে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) এসব অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানায়, “উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও মনগড়া।” কিন্তু আজ নতুন এক সাক্ষাৎকারে জাহানারা আরও বিস্ফোরক দাবি তুলেছেন, যা এখন সরাসরি তদন্তের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ক্লাব ক্রিকেট খেলতে থাকা জাহানারা অভিযোগ করেছেন, সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, প্রয়াত নারী দলের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ, ম্যানেজার ফাইয়াজ, কোচ ইমন, ক্রিকেটার জ্যোতি, পিংকি, নাহিদা এবং রিতুমনি— এদের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

সবচেয়ে আলোচিত অভিযোগটি এসেছে মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, ওই কর্মকর্তা তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছিলেন। জাহানারা বলেন—

“উনি একদিন আমার কাছে এসে কাঁধে হাত রেখে বলেন, ‘তোর পিরিয়ড শেষ হলে আমাকে জানাস, আমার দিকটাও দেখতে হবে।’ পরে ম্যাচে হ্যান্ডশেকের সময়ও তিনি জড়িয়ে ধরতেন।”

এমন গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে জাহানারা বলেন, তিনি একাধিকবার বিসিবির নারী উইং প্রধান শফিউল আলম নাদেলকে জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

“দেড় বছরে অসংখ্যবার অভিযোগ দিয়েছি। শুরুতে একটু ভালো হতো, পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেত,” বলেন জাহানারা।

এ বিষয়ে বিসিবির এক পরিচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, “এত বড় অভিযোগ একসঙ্গে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আসায় আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। এটি এখন বোর্ড পর্যায়ে তোলা হবে, সভাপতি এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন। খুব শিগগিরই বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।”

অন্যদিকে, অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন,

“এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। যারা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করছেন, তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এসব বলা হয়েছে।”

বিসিবি গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, “জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মনগড়া ও অসত্য। নারী ক্রিকেট এখন উন্নতির পথে, এই সময় এমন বিভ্রান্তিকর মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শেষ হওয়া নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পেয়ে ৮ দলের মধ্যে ৭ম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বিতর্ক নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে আইসিসি ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে। ম্যাচ চলাকালীন ক্ষোভে স্টাম্পে... বিস্তারিত