পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক হচ্ছেন সাকেব যে অধিনায়ক!
পাকিস্তান ক্রিকেট ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হয়েছেন মহসিন নকভি। পাঞ্জাবের এই অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী আগামী তিন বছরের জন্য দেশের ক্রিকেটের দায়িত্ব নেবেন। তবে তিনি দলে আসতেই শুরু হয় নতুন জল্পনা। বাবর আজম আবারো নকভির অধীনে দলের অধিনায়কত্ব করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। যদিও বাবর এই দায়িত্ব থেকে সরে এসেছেন মাত্র তিন মাস আগে।
বিশ্বকাপের পর নানা সমালোচনার চাপে বাবর আজম নিজেই এমন সিদ্ধান্ত নেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে তৎকালীন আদালতের প্রধান জাক্কা আশরাফের প্রভাবও স্পষ্ট ছিল। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হন শাহীন আফ্রিদি। টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন শান মাসুদ। তবে ওয়ানডেতে এখনো কোনো অধিনায়ক নেই।
যদিও গুঞ্জন বলছে, অধিনায়ক হলে বাবর মূলত তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক হবেন। পাকিস্তান অবজারভার, সামা টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম পিসিবির অভ্যন্তরীণ সূত্রের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, পিসিবির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বাবরকে আবারও নেতৃত্বে ফেরানোর কথা ভাবছেন।
২৯ বছর বয়সী বাবর পাকিস্তানের অধিনায়ক হয়েছিলেন ২০১৯ সালে। সেবার সীমিত ওভারের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। পরের বছর দায়িত্ব পান টেস্টেও। জনপ্রিয়তার দিক থেকে ওপরে উঠলেও বাবর নেতৃত্বের দিক থেকে বড় কোনো সাফল্য পাননি। ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলা এবং গত বছর ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ওঠাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ অর্জন।
যদিও বিশ্বকাপে বাদ পড়া, এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে বাদ পড়া কিংবা দলে বন্ধুদের প্রাধান্য দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ বারবারই সঙ্গী হয়েছে তার। অবশ্য বাবরকে বাদ দিয়েও পাকিস্তান ক্রিকেটে রাতারাতি কোনো সাফল্য আসেনি। বাবর অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর দুটি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ হেরেছে ৩–০ ব্যবধানে, আর নিউজিল্যান্ডে টি–টোয়েন্টি সিরিজে হার ৪–১ ব্যবধানে।
তবে আশার কথা, বিশ্বকাপ এবং এর পরবর্তী সময়ে ফর্মহীনতায় ভোগা বাবর এরইমাঝে রানে ফিরতে শুরু করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে রান এসেছিল তার ব্যাটে। এরপর চলতি বিপিএলেও নিজের শেষ ম্যাচের সময় ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।