অবশেষে ইসিবি টিম ম্যানেজমেন্টে বড় ধরনের পরিবর্তন
তাদের ক্রিকেট নির্বাচন প্রক্রিয়ায়ও পরিবর্তন আসছে। আপনি যদি দলে সুযোগ চান, তবে শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটেই আপনি সফল হবেন না, নির্বাচকরা আপনার মনোভাব বা খেলার ধরন অনুযায়ী আপনাকে জাতীয় দলে ডাকবেন।
ম্যাককালাম-স্টোকসের যুগে ইংল্যান্ডের লাল বলের ক্রিকেটকে মনে হয় বসন্তের বাতাস। মূল পয়েন্টে পৌঁছানোর আগে, তারা শেষ ১৭ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছিল। এমনকি গত বছর ক্যালেন্ডার বছরে টেস্ট হারের লজ্জাজনক রেকর্ডও গড়েছিল তারা। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের সেই খারাপ সময়ের পেছনে রয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট।
নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে যাত্রা শুরু করেছেন স্টোকস-ম্যাককালাম জুটি। এই সিরিজে নতুন ব্র্যান্ডের এক ইংল্যান্ড দল দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। মাঠের ক্রিকেটে স্টোকসের আক্রমণাত্মক মনোভাব আর ড্রেসিংরুমে ম্যাককালামের মাস্টার মাইন্ড। সবমিলিয়ে নতুন যুগে ইংলিশদের টেস্ট ক্রিকেট।
স্টোকস বলেন, ‘আমি বলব, আপনি ব্যাটিং করেন বা বোলিং, কোন মানসিকতা এবং কোন ঢঙে আপনি খেলছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিসংখ্যান বা অমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। নির্বাচকদের কাছে আপনি কীভাবে খেলছেন, সেটাই প্রথম বিবেচ্য ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটের পাইপলাইনে যেসকল ক্রিকেটার আছেন, সদ্য সমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সিরিজ তাদের জন্য বড় এক বার্তা। এই সিরিজে যে নতুন এক ইংল্যান্ড দল দেখে গেছে, সেটার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারলেই কেবল দলের দড়জায় কড়া নাড়তে পারবেন তারা। এমনটা পরিষ্কার করেই বলে দিয়েছেন ইংলিশদের সাদা পোশাকের অধিনায়ক।
স্টোকস বলেন ‘আমার ধারণা, আগামী অন্তত দুই বা তিন বছর ইংল্যান্ডের হয়ে যারা টেস্ট খেলতে চায়, তাদের গত তিন ম্যাচে একটা বার্তা পৌঁছে গেছে। আমি আশা করব, যারা আমাদের দেখেছে, তারা এখন বুঝবে, দলে কড়া নাড়তে হলে এবং ঢুকতে হলে কী করতে হবে।’