পুরনো কথা নতুন করে তুললেন মুশফিক
এবার পরিষ্কার বলে দিলেন, স্থানীয় ক্রিকেটাররা যেমন পারিশ্রমিক প্রত্যাশা করেন বা তাদের যা পাওয়া উচিৎ তারা তা পান না। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমরা সবসময় প্রত্যাশিত পারিশ্রমিক পাই না।’
খুলনা টাইগার্স ক্যাপ্টেন মুশফিক বলেন, ‘এবার তো অনেক তাড়াতাড়ি পারিশ্রমিক হয়েছে, সৌভাগ্যবশত। এবার খেলাটা হচ্ছে সেটাই অনেক। আমরা নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, তারা সেভাবে আশ্বস্ত করেছেন। নেক্সট থেকে বেতন বা ভাতা আমরা ঠিকঠাক পাবো বলে আশা করি।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের বেতন ভাতা কম। তারা কম পারিশ্রমিকে খেলেন। আমরা সারা বছর খেলি, তারপরও দেখা যায় অনেকের থেকে আমরা কম পাচ্ছি যারা শুধু টি-টোয়েন্টি খেলে। এটা আমাদের জন্য বৈষম্যপূর্ণ।’
মুশফিক বলেন, ‘বিদেশে লোকাল খেলোয়াররা বেশি পারিশ্রমিক পান। আমাদের এখানে তা হয় না। একইসঙ্গে নিজেদের খেলার মানটাও বাড়াতে হবে। আমি আশা করবো আমরাও যাতে এবার ভাল খেলা দেখাতে পারি যাতে করে আমাদের বেতনটা বৃদ্ধি পায়। আর পারিশ্রমিক বেশি হলেই যে আপনি দল পাবেন তা না। এ বছর দেখেন অনেক ভাল ভাল খেলোয়াড়ও দল পায়নি। আমার মনে হয় সে দিকটা বিবেচনা করেই আমাদের এগুলো ঠিক করা উচিত। এ বছরের বিপিএলটা সবার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং, আমার জন্যও চ্যালেঞ্জিং।’
এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি বিপিএল হলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ক্রিকেটারররা চান আগের মত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বিপিএল ফিরে পেতে, মুশফিকও তাই চান। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ! আমরা আশ্বাস পেয়েছি। আর এটা পরের বিপিএল থেকেই হবে। এবারেরটা অনেক তাড়াতাড়ি হচ্ছে সুতরাং এটি মাঠে গড়াচ্ছে সেটিই আমাদের জন্য অনেক বড় ফ্যাক্ট। পরের বছর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে, এমন আশ্বাসই আমরা পেয়েছি। আর যেটা বললেন, বিদেশি প্লেয়ারদের সাথে ডিফারেন্সটা যাতে কম হয় সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, রিভিউ করা উচিত। তাদের জন্যও ভাবা উচিত কারণ টপ প্লেয়ার হয়তো ৪ বা ৫ জন আছেন। কিন্তু ৫০ থেকে ৬০ জন আছে যারা প্রতি বছর দারুণ পারর্ফম করে যাচ্ছে। এমনকি বিপিএলে অনেক ভাল খেলে।’