যতদিনের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হলেন জামাল ভূঁইয়া
খেলার শেষ দিকে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জামাল। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে তেড়ে এসে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখেন তিনি। ফলে লালকার্ডের খড়গ্ নেমে আসে তার ওপর। তবে বিপত্তিটা বেঁধেছে সেখানেই। লালকার্ড দেখার পর প্রধান ও সহকারী রেফারিকে ধাক্কা দেন জামাল।
আহত নেপালি খেলোয়াড়কেও দ্বিতীয়বার আঘাত করেন তিনি। ফুটবলের যেকোনো মানদণ্ডে এগুলো বড় অপরাধ বলে গণ্য হয়। স্বভাবতই ম্যাচ কমিশনার নিজের প্রতিবেদনে রেফারির বক্তব্য উল্লেখ করে এএফসিতে জমা দিলে বড় শাস্তি হতে পারে তার।
ফিফা রেফারিদের টেকনিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর আজাদ রহমানের আশঙ্কা সেটিই। তিনি বলেন, জামাল যেভাবে তেড়ে-ফুড়ে এসে ফাউল করেছে, মাটিতে পড়ে থাকা খেলোয়াড়ের শরীরে পা চাপিয়েছে, ফুটবলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটি মারাত্মক খারাপ আচরণ।
এ ছাড়া লালকার্ড দেখার পর প্রধান রেফারি ও সহকারী রেফারিকেও ধাক্কা মেরেছে সে। ম্যাচ কমিশনার প্রতিবেদন এএফসিতে জমা দিলে ডিসিপ্লিনারি কমিটি ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে নিষিদ্ধ করতে পারে। সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও গুনতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ছয় ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারে।
এটি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের টুর্নামেন্ট। এএফসি কিংবা ফিফা পরিচালিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়। তা হলে শাস্তি কেন? এর জবাবও দিয়েছেন আজাদ। তিনি বলেন, এটি আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট। এএফসি ও ফিফার আইন অনুযায়ীই হয়েছে। ঘরোয়া ম্যাচ হলেও শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার এএফসি বা ফিফার আছে। জামালের শাস্তি শুধু নির্ভর করবে ম্যাচ কমিশনারের প্রতিবেদন ও তথ্য প্রমাণাদির ওপর।