সর্বোচ্চ স্কোর মাহমুদউল্লাহর, রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ
এ দুজন ফিরে গেলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ। দূর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও তুলে নিলেন তিনি। সেঞ্চুরির পর সেজদায় লুটিয়ে পড়েন মাহমুদউল্লাহ।
তবে ম্যাচের ১৩৯তম ওভারে একটি হাস্যকর রান আউটের হাত থেকে বেচেঁ গেছেন মাহমুদউল্লাহ-তাইজুল। দুজনের ভূল বোঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়েছিলেন তারা। কিন্তু উইন্ডিজ ফিল্ডারদের হাস্যকর ভূল ও লক্ষহীন থ্রোতে এ যাত্রায় বেচেঁ যান তারা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৯৩ রান। মাহমুদউল্লাহ ১২৫ রান করে ব্যাট করছেন। মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১১৫ রান করেছিলেন তিনি।
২য় দিনের প্রথম ওভারে কেমার রোচকে একটি, পরের ওভারে রস্টোন চেজকে একটি, দিনের চতুর্থ ওভারে পরপর তিন বলে তিনটি চার মারেন সাকিব। দিনের শুরুর ৪ ওভারেই ২৭ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। যার মধ্যে ২৩ রানই করেন সাকিব। চার ওভারের মধ্যেই পৌঁছে যান ৭৮ রানে।
সে তুলনায় দিনের শুরুতে বেশ নড়বড়ে ছিলেন অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কয়েকবার লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন ও একবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। অবশেষে দিনের পঞ্চম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেন মাহমুদউল্লাহ।
তার এই বাউন্ডারিতেই পূরণ হয় দুজনের শতরানের জুটি। ৬৮তম ওভারে দলীয় ১৯০ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর দুজন মিলে জুটি বাঁধেন। ১৬৬ বল খেলেই নিজেদের জুটিতে শতরান করে ফেলেন সাকিব ও রিয়াদ।
দিনের সপ্তম ওভারে সাকিব ফিরে গেলেও এক প্রান্ত ধরে খেলছেন রিয়াদ। সাকিবের চেয়ে তুলনামূলক ধীর খেললেও ৮৮ বলে ৪ চারের মারে দিনের এগারতম ওভারে নিজের ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি খেলেছিলেন ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সে ফর্ম বজায় রাখলেন চলতি টেস্টেও। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের নির্ভরতাতেই মূলত বড় সংগ্রহের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। রিয়াদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলছেন লিটনও। মাত্র ৫০ বলেই তুলে নিয়েছেন নিজের ফিফটি।