প্রেমের নামে একাধিকবার ছাত্রীকে ধর্ষণ
অশোকনগর কয়াডাঙ্গা মামার বাড়িতে জগধাত্রী পূজোয় ঘুরতে এসে পরিচয় নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় হয় পাশের পাড়ার অপুর্ব চক্রবর্তীর।
কিন্তু এই পরিচয় ধীরে ধীরে প্রেমের রূপ নেয়। আসলে মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী নাবালিকা প্রায়শই মামার বাড়ি ঘুরতে আসতো। সেই সুযোগেই দুজনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিন্তু ছাত্রীর পরিবারের দাবি তাঁদের মেয়েকে আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে জোর করে সম্পর্কে জড়িয়ে নিয়েছিল অপূর্ব। তাঁদের দাবি, যুবক বারবার নাবালিকাকে বলত ‘তুমি আমায় ভালো না বাসলে আত্মহত্যা করবো’। এতেই ভয় পেয়ে অপূর্বের জালে জড়িয়ে পড়ে সে।
অভিযোগ, এই প্রেম পর্ব শুরু হওয়ার পড়েই অপূর্ব হাবড়ার অশোকনগরের একটি সিনেমা হলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের মেয়েক ধর্ষণ করে একাধিকবার।
তাঁদের দাবি, বক্সে সিনেমা দেখে তাকে ওখানেই দীর্ঘদিন ধর্ষণ করত ওই যুবক। এরপরে একদিন হঠাৎ ফোন করে অপূর্ব ছাত্রীকে জানায়, সে যেন তাকে আর বিরক্ত না করে।
কারন তার অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ সম্পর্ক ভাঙার এমন কাণ্ডে ছাত্রী মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজের হাতের শিরা কেটে এবং কেরোসিন তেল খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
কি কারনে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে যাচ্ছিল তা বাড়ির লোক জিজ্ঞাসা করতেই সব খুলে বলে ওই ছাত্রী। অবশেষে শুক্রবার রাতে দেশটির অশোকনগর থানার দারস্থ হয়ে অপূর্বের নামে প্রেমের নামে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।
এরপরেই অশোকনগর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত অপূর্বকে। তবে এর আগেও হাবড়া অশোকনগরের সিনেমা হলগুলিতে এরকম ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ প্রশাসনের নজরদারি কম থাকার কারনেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।