নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশমিশ—যাকে অনেকে আখ্যা দেন ‘স্বর্গীয় ফল’। শুকনো আঙুর থেকে তৈরি এই ছোট্ট কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবারটি শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতাতেও অনন্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীর ও মনের জন্য হতে পারে এক ধরনের প্রাকৃতিক ওষুধ।

সকালে খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ককিশমিশে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা, যা শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ না করেই ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

রক্তস্বল্পতা দূর করেলৌহ ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে ভরপুর কিশমিশ রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে। এতে থাকা কপার রক্তের লোহিত কণার সংখ্যা বাড়ায়।

হজমে সহায়তাআঁশসমৃদ্ধ কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে খেলে প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেপটাশিয়ামসমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরের লবণাক্ততার ভারসাম্য বজায় রাখে ও রক্তচাপ হ্রাসে সহায়তা করে।

হাড়ের সুরক্ষাবোরন, ক্যালসিয়াম ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসমৃদ্ধ কিশমিশ হাড়কে মজবুত রাখে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করেকিশমিশের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের দুর্গন্ধ দূর করে ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়ভিটামিন বি ও সি সমৃদ্ধ কিশমিশ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক, প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

শক্তি যোগায়প্রাকৃতিক গ্লুকোজ কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে, ক্লান্তি দূর করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অন্ধত্ব ও কোলেস্টেরল প্রতিরোধঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে এবং দ্রবণীয় ফাইবার লিভার থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।

অনিদ্রা দূর করেআয়রনসমৃদ্ধ কিশমিশ অনিদ্রা সমস্যা কমাতে সহায়তা করে, যা ঘুমের মান উন্নত করে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য উপকারী, শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

মনোযোগ ও বুদ্ধি বিকাশে সহায়কবোরন মনোযোগ ধরে রাখতে ও শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে।

মানসিক প্রশান্তি আনেআয়রন অবসাদ কমায় এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।

ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষাভিটামিন সি, ই ও কোলাজেন উৎপাদন ত্বককে উজ্জ্বল ও বলিরেখা-মুক্ত রাখে, পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও সুরক্ষা দেয়।

সতর্কতা:যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত কিশমিশ খাবেন না।