নির্বাচনের আগেই ঝাঁঝালো বার্তা দিচ্ছে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণার আগেই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একযোগে ৭৬ জন ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন রেঞ্জ ও ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাগত নানা ব্যাখ্যা উঠে আসছে প্রশাসনিক অঙ্গনে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসব কর্মকর্তার অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ওএসডি হিসেবে ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ ছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে, তারা ঢাকায় থেকেই আলাদা আলাদা দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন বৈঠকে মিলিত হচ্ছিলেন। এর ফলে সন্দেহ তৈরি হয় যে, তারা সরকারবিরোধী আলোচনায় জড়িত ছিলেন কি না।
বিশেষ করে, অনেকেই আগের সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই সূত্রে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও তথ্য তাদের হাতে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে যাতে তারা আর সম্মিলিতভাবে কোনো ষড়যন্ত্র বা গোপন বৈঠকে অংশ নিতে না পারেন।
একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, "ওএসডি অবস্থায় থাকা এই কর্মকর্তারা এক ধরনের ‘বন্দি প্রশাসন’ তৈরি করে ফেলছিলেন ঢাকায়। তাদের আবার মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে যাতে নিয়মতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।"
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই ৭৬ জনের তালিকায় এমন কর্মকর্তাও রয়েছেন যারা গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় পলাতক ছিলেন। যদিও পুলিশ সদর দপ্তরের মতে, পলাতকদের একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শেষ তালিকায় ৪৩ জন পলাতক কর্মকর্তার নাম ছিল। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব পলাতকের তথ্য এখনও হাতে পৌঁছেনি বলেই হয়তো কিছু নাম তালিকায় থেকে গেছে।
এই তালিকায় ১১ জন ডিআইজি, ৪৬ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১২ জন সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ৭ জন পুলিশ সুপার রয়েছেন। ডিআইজিদের মধ্যে কেউ কেউ সারদায়, আবার কেউ কেউ চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও খুলনা রেঞ্জে সংযুক্ত হয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরোনো বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ঢাকায় রাখা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আবার নতুন কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি প্রশাসনিক জটিলতার কারণে। তাই ওএসডি থাকা ‘অপদার্থ’ কর্মকর্তাদেরই পুনরায় মাঠে নামানো হলো। যদিও এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে প্রশাসনের মধ্যেই।
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিবের মতে, “এই পদক্ষেপ একদিকে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে সহায়ক হলেও, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে— রাজনৈতিক আস্থার ভিত্তিতে এই কর্মকর্তারা কি আবার পুরনো ভূমিকা পালনে নামবেন?”
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। সে সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ ওঠে। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যান বা বসিয়ে রাখা হয় ওএসডি করে। তাদেরই একটি অংশকে আবার মাঠে নামানো হলো এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ : জেনেনিন বাংলাদেশ বনাম লাওস ম্যাচের সর্বশেষ ফলাফল
- আজ বাংলাদেশ বনাম লাওস: কখন, কোথায় দেখবেন ও কী আছে পরিসংখ্যানে
- পোস্ট অফিসে ১ লাখ টাকা রাখলে প্রতি মাসে কত মুনাফা
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- ১-০ গোলে শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম লাওস ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা
- নাটকীয় লস টাইমের গোল উৎসব শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম লাওসের ম্যাচ
- বিমানবন্দরে ২৬ বাংলাদেশি আটক করলো পুলিশ
- হাসনাত-জারা-সারজিসসহ এনসিপির ৫ শীর্ষ নেতা শোকজ"
- বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে প্রবাসীর পরিবারের ৭ জন নিহত
- হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ে শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম দ:আফ্রিকার ক্রিকেট ম্যাচ
- পোস্ট ডিলিটের পাল্টা জবাব ড্রোন দিয়ে দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
- বিসিবির ২৫০ কোটি টাকার ইস্যু: ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে যা বললো দুদক
- যে কারনে এনসিপির ৫ শীর্ষ নেতাকে শোকজ, কী বলা হয়েছে চিঠিতে
- চরম দু:সংবাদ : বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগারে ভয়াবহ আগুন, আহত ২৫ শিক্ষার্থী
- ফুটবল ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ