বে*ফাঁ*স বক্তব্য করে বিপাকে ভিপি নুর , ক্ষমা না চাইলে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে গণ-অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে নুরুল হক নুর তার দলীয় সহযোগী ও বহিরাগতদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে একটি মিছিল করেন। মিছিলের সময় নুর ও তার অনুসারীরা বিভিন্ন উসকানিমূলক এবং মানহানিকর স্লোগান দেন। এরপর তারা ট্রাইব্যুনালের মূল প্রবেশ গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে তারা ট্রাইব্যুনালের ভেতরে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন।
ট্রাইব্যুনালের সামনে গিয়ে নুর একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, যেখানে তিনি চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগে বলা হয় যে, তাজুল ইসলাম নাকি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। অভিযোগগুলো গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা তাজুল ইসলামের মর্যাদায় আঘাত হানে বলে ট্রাইব্যুনাল দাবি করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নুরের এই অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা। নুরের এমন মন্তব্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং এর চিফ প্রসিকিউটরের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। এতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এটি বিচারপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশেষ করে, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হিসেবে এ ঘটনাকে দেখা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনাল থেকে নুরকে তার মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যক্তি স্বার্থে এমন হঠকারী ও ভিত্তিহীন মন্তব্য কখনও মেনে নেওয়া হবে না এবং এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা বলে বিবেচিত হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা বহু নির্যাতিত পরিবারের ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশার সঙ্গে যুক্ত। দেশের এই সুবিচার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত স্বার্থে মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা খুবই নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।
- চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: মিলছে টানা তিন দিনের ছুটি
- সেপ্টেম্বর মাসের সরকারি ও ঐচ্ছিক ছুটির তারিখ একসাথে দেখেনিন
- ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি: সাব্বিরকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ
- তৌহিদ আফ্রিদি লিভার ও ক্যানসারে আক্রান্ত, যে আদেশ দিলো আদালত
- যেদিন থেকে ভিসা চালু করবে ওমান, জানালো সময়
- হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ আখ্যায় রুমিন ফারহানা, তীব্র বাকযুদ্ধে দুই নেতা
- এসএসসি ২০২৬: পরীক্ষার্থীদের জন্য এইমাত্র ঘোষণা করা হলো নতুন নিয়ম
- এশিয়া কাপ খেলতে ভারতে পা রাখলো বাংলাদেশ দল
- ২০২৫ সালে আর কয়টি সরকারি ছুটি বাকি, দেখুন পূর্ণাঙ্গ তালিকা
- ফজলুর রহমানকে যে শাস্তি দিলো বিএনপি
- সেনাবাহিনীর গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে উড়িয়ে দিলো ট্রাক, আহত ৮ সেনাসদস্য
- সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত
- এনসিপিতে পদত্যাগের হিড়িক: আরও চার নেতার একযোগে পদত্যাগ
- ইতালি ও ইউরোপের ভিসা এখন দূরস্বপ্ন: বাংলাদেশিদের সামনে কড়া বাস্তবতা
- শাহজালাল বিমানবন্দরে বড় ধরা! ১৩০ কোটি টাকার মাল আটক