করোনা নিয়ে পুরো দেশের জন্য দু:সংবাদ

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় বাংলাদেশে দুই মাসের বেশি সময় লকডাউনের পর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছিল গত ৩১ মার্চ। এরপরের ১৮ দিনে ৫৫ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর, যা মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি।
সরকারি হিসাবে, ১ লাখ ২ হাজারের বেশি শনাক্ত রোগী নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ১৭ নম্বরে চলে এসেছে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে বলেছেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। এটি দুই থেকে তিন বছর বা তার চেয়েও বেশি দিন স্থায়ী হবে, যদিও সংক্রমণের মাত্রা উচ্চহারে নাও থাকতে পারে।”
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। তার দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু। সংক্রমণ শুরুর পর ৩০তম দিনে ৬ এপ্রিল দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।
তখনও করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ কেবল আইইডিসিআরে সীমাবদ্ধা ছিল। পরে সামাজিক সংক্রমণ শুরু হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরীক্ষার সুযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর দেশে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে শুরু করায় বিশ্বের আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় লকডাউনের বিধিনিষেধ। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা সাফল্য আসেনি।
সংক্রমণ শুরুর পর ৩৮ তম দিনে ১৪ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০ দিনের মাথায় ৪ মে রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম রোগী শনাক্তের পর সেটা ছিল ৫৮তম দিন।
এরপর ১১ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার, তার পরের সাত দিনে ৩০ হাজার এবং তার ছয় দিনে ৪০ হাজার এবং আরও পাঁচ দিনের মাথায় ২ জুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
প্রথম রোগী শনাক্তের পর সেটা ছিল ৮৭তম দিন। তার আগেই লকডাউনের অধিকাংশ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে পোশাক কারখানা এবং তারপর মার্কেট, শপিং মল আর উপাসনালয় খুলে দেওয়া হয়েছিল রোজার ঈদের আগেই। ৩১ মে থেকে সরকারি ভাষায় ‘সীমিত আকারে’ অফিস এবং যানবাহন চালুর অনুমতি দেওয়া হয়।
২ জুনের পর তিন দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার এবং তার পরের চারদিনে ৭০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর প্রতি তিন দিনে গড়ে দশ হাজার করে বেড়ে ১৮ জুন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা লাখের ঘরে পৌঁছায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৮ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ জন।
আইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাব দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে বলা হয়, বাসা ও হাসপাতাল মিলিয়ে চিকিৎসাধীন মোট ৪০ হাজার ১৬৪ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন।
- বাংলাদেশ-আমিরাত প্রথম টি-টোয়েন্টি: নতুন সিরিজে মাঠে নামছে টাইগাররা
- একলাফে বাড়লো মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (৫ মে ২০২৫)
- বাংলাদেশের ভয়ংকর বোলিং তাণ্ডবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের লজ্জার হার
- মোটরসাইকেল স্টার্ট দিতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষ যে ভুলটি করে থাকেন
- আজ ৫/৫/২০২৫ তারিখ, জেনেনিন আজকের ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হঠাৎ পতন জ্বালানি তেলের বাজারে
- ১৯ বছর পর আবারও ইতিহাসের লজ্জার রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ
- আদালতে পুলিশের সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি, ফের বিতর্কে হাজী সেলিম
- হায়দ্রাবাদ দলে বিশাল বড় ধাক্কা ,ছিটকে গেলো তারকা ক্রিকেটার
- আইসিসির নতুন র্যাঙ্কিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ
- প্রতিপক্ষের জালে আটকে গেল বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন
- ইতালি যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর, লিগ্যাল পথে নিচ্ছে আরও শ্রমিক
- জাতীয় দল নয়, আইপিএলকেই বেছে নিলেন হেটমায়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে চমক
- বিকাশ গ্রাহকদের জন্য সুখবর
- গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নিয়মিত খেলে যেসব মারাত্মক রোগ হতে পারে জেনেনিন