হঠাৎ পতন জ্বালানি তেলের বাজারে

বিশ্ববাজারে আবারও হঠাৎ নেমে এসেছে জ্বালানি তেলের দাম। অথচ, এই সময়েই সৌদি আরব ব্যস্ত তাদের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘নিওম’ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক রূপান্তর কর্মসূচি নিয়ে। এমন অবস্থায় বাজারে প্রশ্ন উঠেছে—তেলের দাম পড়ে গেলে সৌদি অর্থনীতি কিভাবে সামাল দেবে?
তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দাম পতনের সঙ্গে তারা দিব্যি মানিয়ে নিতে পারবে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সৌদি সরকার তেল সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করেছে যে, এমন দামে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
তেলের দামে পতন, কিন্তু কেন?বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বেড়েছে।???? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি,???? যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু চুক্তির সম্ভাবনা,???? এবং বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্থরতার আশঙ্কা—সব মিলিয়ে তেলের বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু চুক্তি হয়, তাহলে ইরানি তেল আবার আন্তর্জাতিক বাজারে ফিরবে। ফলে তেলের সরবরাহ বেড়ে যাবে এবং দাম আরও কমে যেতে পারে।
ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট: সৌদি বাজেটের সীমাঅক্সফোর্ড অ্যানালিটিকার তথ্যমতে, ২০২৫ সালের বাজেট ভারসাম্য রাখতে হলে সৌদি আরবকে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ১০০ ডলার পেতে হবে। অথচ, বর্তমান বাজারে দাম অনেকটাই কমে গেছে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সৌদি আরব এই তত্ত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজস্ব গতিতেই চলছে।জ্বালানি বিশ্লেষক এলেন ওয়াল্ড বলেন, "তেলের নির্দিষ্ট মূল্যে বাজেট ভারসাম্য বজায় রাখা এখন সৌদি আরবের প্রাধান্য নয়।"
ঘাটতি মেনে নিচ্ছে সৌদি আরব২০২৫ সালের বাজেটে সৌদি আরব ২৭ বিলিয়ন ডলার ঘাটতির পূর্বাভাস দিয়েছে, যা তাদের মোট জিডিপির ২.৩ শতাংশ। আবার যদি তেলের দাম আরও কমে যায়, তাহলে ঘাটতি বেড়ে ৫৬ বিলিয়ন ডলার (জিডিপির ৫.২ শতাংশ) পর্যন্ত যেতে পারে।
তবুও তারা নিশ্চিন্ত, কারণ—
বৈদেশিক রিজার্ভ: ৪৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি
ঋণের পরিমাণ: জিডিপির মাত্র ৩০ শতাংশ
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ তোলার সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে
নিওম: বিশাল স্বপ্ন, বাস্তব কাটছাঁটনিওম প্রজেক্ট—যা শুরু হয়েছিল ১৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি মেগা সিটি হিসেবে—তা এখন আকারে ছোট হয়ে এসেছে।???? ২০৩০ সালের মধ্যে যেখানে ১৫ লাখ মানুষের বাস পরিকল্পনা ছিল, এখন তা কমে মাত্র ৩ লাখে এসেছে।???? প্রকল্পের পূর্ণ দৈর্ঘ্য যেখানে ১৭০ কিলোমিটার ছিল, সেখানে মাত্র ২.৪ কিলোমিটার কাজই ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হতে পারে।
এই বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েই এখন প্রকল্পে ‘বিস্তৃত পর্যালোচনা’ চলছে।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমলেও সৌদি আরব নিজেদের আর্থিক সক্ষমতার ওপর ভরসা রেখে এগোচ্ছে। এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের দিকে ঝুঁকছে তারা।চীনকে পেছনে ফেলে সৌদি আরব ইতোমধ্যেই ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ঋণ ইস্যুকারী দেশ হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে।
বিশ্লেষক টিম ক্যালেনের মতে, “সৌদি আরব এখনো এমন অবস্থানে আছে যেখানে বড় বাজেট ঘাটতিও কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না।”
তেলের দাম কমা সৌদি আরবের অর্থনীতির জন্য বড় একটি ধাক্কা হলেও তারা এখন বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবতা মেনে নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেনে নিচ্ছে, আবার ঋণের জোগান নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিশ্ববাজারে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই কৌশল কত দিন কার্যকর থাকবে?
- ডাকসু ভোটে লড়াই জমে উঠেছে: জমজমাট প্রার্থী তালিকা
- ‘এত দিন আমাকে কিসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন’ নীলা ইস্রাফিলের
- সেনানিবাসে সাবেক আইজিপির পালানোর চমকপ্রদ কৌশল ফাঁস
- যে ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন হচ্ছে,দেখেনিন তালিকা
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হলো ব্রাজিল ও উরুগুয়ের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ
- ছুটি কমছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ঘটে গেলো চাঞ্চল্যকর ঘটনা, ধরা পড়ল সিসিটিভিতে
- হাইভোল্টেজ ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও কলম্বিয়া,জেনেনিন সময়
- সবুজ, লাল না কালো আঙুর, কোনটিতে বেশি উপকার, জানলে আপনি অবাক হবেন
- ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন: নির্বাচন কমিশনের খসড়া চূড়ান্ত
- বেতন নিয়ে পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য সুখবর
- আজকের সিঙ্গাপুর ডলারের রেট কত, কোথায় মিলছে সর্বোচ্চ দাম
- কোপা আমেরিকা ২০২৫: ফাইনালে যে দলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ব্রাজিল
- ক্রিকেটবিশ্বে নতুন ইতিহাস : অধিনায়ক ছাড়াই খেলবে ইংল্যান্ড
- প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর : নতুন ভিসা চালু করলো সৌদি আরব